Kurulus Osman Episode 121 Bangla Subtittle
উসমান বে'কে চারদিক থেকে মোঙ্গলরা ঘিরে ফেলে।বায়িন্দার বে সেখানে আসে।বায়িন্দার বে উসমান বে'র গলায় তলোয়ার ধরে এবং বলে দেখো উসমান তোমার অবস্থা। তখন উসমান বে বলে শেয়ালদের রাজত্ব ততক্ষণ, যতক্ষণ নেকড়েরা ঘুমিয়ে থাকে।উসমান বে সবাইকে পরাজিত করতে শুরু করে।তখন মোঙ্গলরা উসমান বে'কে রশি দিয়ে বেধে ফেলে।উসমান বে সেখান থেকে বের হতে যায়,তখন তাকে জাল দিয়ে আটকে ফেলে।বোরান আল্প,ও বাকি আল্পরা সেখানে আসে এবং তাদের সাথে লড়াইয়ে জড়ায়।বোরান ও বাকি আল্পদের ধরে ফেলে।উসমানকে আত্মসমর্পণ করতে বলে।তখন আল্পদের বাঁচাতে উসমান বে আত্মাসমর্পন করে।মোঙ্গল কমান্ডার তাদের বন্ধী করে এবং প্রবেশদ্বারে নিয়ে যায়। উসমান বে'কে খাঁচায় বন্ধী করে এবং বাকি আল্পদের নির্যাতন করে।
আলাউদ্দিন বে ও দুরসুন ফকিহ সুলতান আলাউদ্দিন এর কাছে যায়।ভিজির এর সামনে আলাউদ্দিন ও দুরসুন ফকিহ দেখা করে। তারা সুলতান আলাউদ্দিন এর সাথে দেখা করতে চায়।কিন্তু ভিজির তাদের ডুকতে দেয়না এবং দুরসুন ফকিহ এর সাথে কটু কথা বলে। আলাউদ্দিন বে'কে বলে এটা ইয়েনিশেহির না এটা বড় প্রাসাদ। তখন আলাউদ্দিন বে জানায় বড় প্রাসাদ হলো স্বাধীনতা।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দ্রুত সুলতান আলাউদ্দিনকে জানাতে হবে।তখন তাদেরকে সুলতান এর দরবারে প্রবেশ করতে দেয়।আলাউদ্দিন বে সুলতান এর সাথে কথা বলতে চায়।সে চায় কথাগুলো সুলতান আলাউদ্দিনকে একা বলতে কিন্তু সে সবার সামনে বলতে বলে।কিন্তু আলাউদ্দিন বে জানায় এটা রাস্ট্রের বিষয়,এটা গোপনে বলতে হবে।তখন সুলতান আলাউদ্দিন সবাইকে বাহিরে যেতে বলে।
সবাই বাহিরে গেলে আলাউদ্দিন বে সুলতানকে জানায়,তারা সুলতান আলাউদ্দিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।সুলতান আলাউদ্দিন এতে রেগে যায় এবং জানতে চায় কে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,যারা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সুলতান আলাউদ্দিন এতে রেগে যায়। প্রমান কি তার কথার জানতে চায়।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,তার বাবা উসমান প্রাসাদে এসেছে, তাকে সাহায্য করতে কিন্তু মোঙ্গলরা ডাকে বন্ধী করেছে এবং গোপনে হত্যা করতে চাইছে যাতে সে আপনে সাহায্য করতে না পারে। তখন সে উসমান বে'কে দেখতে যায়।সে দেখতে পায় মোঙ্গল কমান্ডার তাকে বন্ধী করে তার আল্পদের শাস্তি দিচ্ছে। তখন সুলতান আলাউদ্দিন তাদেরকে থামতে বলে এবং উসমান বে'কে তার সাথে আসতে বলে।উসমান বে তার সাথে যায় এবং তার আল্পদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উসমান বে সুলতান এর দরবারে যায় এবং তার কথা বলে।সে মোঙ্গল কমান্ডারকে ফাঁশিয়ে দেয়। মোঙ্গল কমান্ডারকে বন্ধী করা হয়।বায়িন্দার বে'কে উসমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়।তারপর সভা শেষ করা হয়।সুলতান আলাউদ্দিন মনে করে,আসল সমস্যা তার চাচা মাসুদ।তাই তার চাচা মাসুদকে ফাঁশি দিতে চায়।এদিকে উসমান বে মাসুদকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করে। তুরান আল্প সৈন্যদের ছদ্মবেশে সেলজুক সৈন্যদের সাথে মিশে যায়।বোরান আল্প জানতে পারে,মোঙ্গলরা সুলতান মাসউদকে হত্যা করতে যাচ্ছে। উসমান বে তাদের পিছু নেয় এবং সুলতান মাসউদকে আটকে রাখা ঘর খুঁজে পায়।মোঙ্গলরা সুলতান মাসুদের গলায় রশি আটে।তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে।উসমান বে ও তার আল্পরা পিছনের দরজা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে।তারপর মোঙ্গলদের উপর আক্রমণ চালায়।উসমান বে ও তার আল্পরা মোঙ্গলদের পরাজিত করে এবং সুলতান মাসুদকে উদ্ধার করে।
ইসমেহান সুলতান ইয়েনিশেহিরে যায় এবং ইয়েনিশেহির তার অধীনে নিতে চায়।ইয়েনিশেহিরে প্রবেশ করা সব খাবার জব্দ করে এবং ইয়েনিশেহিরে দুর্ভিক্ষ লাগাতে চায়। এজন্য সে ব্যবসায়ীদের উত্তেজিত করে তোলে এবং তাদেরকে উসমান বের বিরুদ্ধে উস্কে দেয় এবং ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য স্বীকার করতে বলে।ইসমেহান সুলতান ইয়েনিশেহিরের মালিকানা নিতে চায়।বালা হাতুন এতে রেগে যায় এবং ইসমেহান সুলতান এর সামনে ছুড়ি বের করে।মালহুন হাতুন তাকে থামিয়ে দেয়।ইসমেহান সুলতান বালা এবং মালহুন হাতুন এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে চায়।এজন্য সে বালা হাতুনকে প্ররোচিত করে এবং তার সাথে দেখা করতে বলে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা গোলমাল করে এবং সবাই সমবেত হয় এবং মিশিল করে।তারা উসমান বের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য স্বীকার করতে চায়।মালহুন হাতুন দূর্গ থেকে খাবার আনতে চায় কিন্তু জানতে পারে দূর্গের খাবার বন্ধ হয়ে গেছে। তখন মালহুন হাতুন সিদ্ধান্ত নেয়,সেখানে খাবারগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে সেখানে আক্রমণ করবে।তখন তারা কয়েকটি গুহাকে বিবেচনা করে এবং তাদের মধ্যে একটিকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। তারপর জেরকুতায় ও গুর্বুজ আল্পকে পাঠায় তাদের অবস্থান জানার জন্য। তারা তাদের অবস্থা খুজে বের করে।মালহুন হাতুন তাদের আক্রমণ করার জন্য যায়।তুর্গুত বে খাবার নিয়ে যেতে চায়। এজন্য সে বে'দেরকে ডাকে এবং তাদেরকে নিয়ে আক্রমণ করতে যায়।মালহুন মালামাল এ আক্রমণ করে। তুর্গুত বে বে'দেরকে নিয়ে সেখানে যায় এবং মালহুন হাতুনদের সাহায্য করে।
উসমান বে জিজ্ঞেস বালা হাতুনকে জিজ্ঞেস করে,কিভাবে আলচিচেককে অপহরণ করেছে? বালা হাতুন বর্ননা দেয়।উলগেন হাতুন হাসিতে ফেটে পড়ে।পড়ে থেমে জানায়,আলচিচেক এর সহকারী খুবই সাহসী। যখন তারা আলচিচেককে নিয়ে বের হয়,তখন বেঙ্গি হাতুন কক্ষে প্রবেশ করলে সে দরজা বন্ধ করে দেয়।পরে বালা হাতুন উসমান বে'কে জিজ্ঞেস করে,কিভাবে সে দূর্গ থেকে ফিরতে পেরেছে।তখন উসমান বে জানায়,সে বলছিলো দূর্গের পাশে গোলাবারুদ রাখা আছে।তখন তারা তাকে দূর্গ থেকে বের হতে দেয়।পরে তারা বুঝি পারে,উসমান মিথ্যা বলেছে। উসমান বে'র পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চায়,তখন উসমান বে জানায়,তার কথামতো ইনেগুল নিবে এবং সেখানে আলচিচেক ও আকতেমুর এর বিয়ে হবে।
উসমান বে বোরান আল্প'কে নির্দেশ দেয়,আল্পদের প্রস্তুত করতে এবং সোগুত থেকে আল্পদের নিতে।তখন বালা হাতুন জানতে চায়,সে কি তুর্গুত বে'র সাথে যুদ্ধে জড়াবে?তখন উসমান বে জানায়,প্রথমে তুর্গুত বে, পরে পুরো বিশ্বের সাথে লড়াই করবে প্রয়োজনে।আলচিচেক কে অপহরণ করায় বায়িন্দার বে রেগে যায় এবং সে ওক্তেম বে'র সাথে রাগারাগি করে।সে তার স্ত্রীকে অপহরণ করার জন্য উসমান বে'কে শাস্তি দিতে চায়।তখন ওক্তেম বে প্রথমে তার ভাষা ঠিক করতে বলে।সে বলে, আলচিচেক তোমার স্ত্রী নয়,আমার মেয়ে।তখন বেঙ্গি হাতুন সেখানে আসে এবং বায়িন্দার বে'র পক্ষ নেয় এবং জানায় উসমান বে'র এ কাজের জন্য তাকে মূল্য দিতে হবে।তখন ওক্তেম বে, আল্পদের প্রস্তুত হতে বলে ইয়েনিশেহিরে যাওয়ার জন্য। তখন বায়িন্দার তাদের সাথে যেতে চাইলে,তাকে বাঁধা দেয়।
ইসমেহান সুলতান ইনেগুল এ তুর্গুত বে'র সাথে কথা বলে।কুতান এসে জানায়,সে দূর্গের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।তখন ইসমেহান সুলতান জানায়,দূর্গের নিরাপত্তার কোনো প্রয়োজন নেই।তখন তুর্গুত বে বলে আমি উসমান বে'কে যতটা জানি, আপনি তার কিছুই জানেন না।তখন ইসমেহান বলে,তুমি উসমান বে'কে যতটা জানো ইসমেহান সুলতান কে তার কিছু জানো না।তখন ইসমেহান সুলতান সৈনিকদের ডাক দেয়।তখন সেলজুক সৈন্যরা সামনে আসে এবং তীরন্দাজ রা আসে।তুর্গত বে তারপর ও জানায় দূর্গের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। তখন উসমান বে দূর্গে প্রবেশ করে এবং যারা বাঁধা দিতে আসে, তাদেরকে পরাজিত করে।তারপর অনুমতি ছাড়াই কক্ষে প্রবেশ করে।ইসমেহান সুলতান এর সাথে উসমান বের কথা কাটাকাটি হয়।উসমান বে'কে আটক করতে চায়।
আলচিচেক আকতেমুর এর কক্ষে আসে এবং তার অবস্থা দেখতে পায়।আলচিচেক এর জন্য দুঃখ অনুভব করে।আয়েশা হাতুন আকতেমুর এর পরিচর্যা করে।আকতেমুর তার মাকে কক্ষ থেকে বের হতে বলে এবং আলচিচেক এর সাথে কথা বলে।আকতেমুর আলচিচেক এর কাছে অভিমান করে,কারন যখন সে তার জন্য শত্রুদের হাতে বন্ধী হয়,তখন সে বায়িন্দার কে বিয়ে করতে বসেছে।আকতেমুর আলচিচেককে চলে যেতে বলে।ওক্তেম বে ও বেঙ্গি হাতুন তার আল্পদের নিয়ে ইয়েনিশেহিরে আসে।তারা ওসমান বে'র কক্ষে ডুকতে চায় কিন্তু উসমান বে'র প্রাসাদের রক্ষীরা বাঁধা দেয়।তারা আক্রমন করতে চাইলে,বালা হাতুন ও মালহুন হাতুন সেখানে উপস্থিত হয়।তারা তাদের সাথে কথা বলে।তখন আলচিচেক বেরিয়ে আসে এবং তার বাবা মায়ের সাথে চলে যেতে চায়।পিছনে আকতেমুর ও আসে।আলচিচেক তার বাবার কাছে যায়।
বালা হাতুন,মালতুন হাতুন ও আয়েশা হাতুন অবাক হয়।ওক্তেম বে আলচিচেককে নিয়ে ইয়েনিশেহির ছেড়ে চলে যায়।আয়েশা হাতুন আকতেমুরকে জিজ্ঞেস করে কি ঘটেছে। তখন আকতেমুর সবকিছু খুলে বলে।আয়েশা হাতুন এতে রাগান্বিত হয়।আলচিচেককে নিয়ে দূর্গে যায়।কিন্তু আলচিচেক তার মায়ের সাথে তর্ক করে এবং তাকে হত্যা করতে বলে।সে ছুড়ি নেয় এবং তার গলায় রাখে এবং জানায় সবকিছু তার জন্য হয়েছে।সে আকতেমুরকে ভালোবাসে।তখন বেঙ্গি হাতুন তাকে আঘাত করে।ওক্তেম বে বেঙ্গি হাতুনকে আঘাত করতে গেলে সে তার হাত ধরে ফেলে।তখন ওক্তেম বে আলচিচেক কে উপরে তুলে এবং তাকে শান্তনা দেয়।হুসেইন এসে বায়িন্দার বে'কে জানায়, আলচিচেককে ইয়েনিশেহির থেকে দূর্গে নেওয়া হয়েছে।তখন সে দূর্গে যায় এবং আলচিচেককে চায়।কিন্তু তখন ওক্তেম বে জানায় সে তাকে তার কাছে দিবে না।আলচিচেক কে তার বোন ডাকতে বলে।
কান্তাকুজানোস ইনেগুলে আসে এবং ইসমেহান সুলতান এর সাথে চুক্তি করতে একটি চুক্তিনামা টেবিলে রাখে। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে ইসমেহান সুলতান ওসমান বে'র দূর্গগুলো তাকে হস্তান্তর করতে বলে।তখন ওসমান বে তার তলোয়ার বের করে এবং টেবিলটি ভেঙ্গে ফেলে।তারপর সে তার সিদ্ধান্ত দুদিন পর জানাবে বলে চলে আসে।তারপর ওসমান বে এক মাঠে যায় এবং তার কাজ নিয়ে নিজের সাথে কথা বলে।তারপর সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।শামিল ইয়েনিশেহিরে আসে এবং ইনেগুলে যা ঘটেছে তা বিস্তারিত বলে।মালহুন হাতুন সবাইকে প্রস্তুত হতে বলে।আল্পদের কাজ করতে বলে।ইয়েনিশেহিরের চারপাশে পরিক্ষা খনন করতে বলে।সোগুত থেকে আল্পদের নিয়ে আসতে বলে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলে।বালা হাতুন তার কাজে একটু বিরক্ত হয় এবং পিছু হটার কথা বলে।