Alparslan Büyük Selçuklu Bangla Subtittle Episode 50
আল্পআর্সলান মনে করে বাসাসিরি মারা গেছে কিন্তু সে মারা যায়নি।যখন আল্পআর্সলান দরজা আটকে দিয়ে বাহিরে বের হয়ে যায়,তখন আমির বাসাসিরি সিড়ি বেয়ে দূর্গের উপরে উঠে যায়।বাসাসিরি একজন নাগরিককে দেখতে পায়,যে ভয়ে কাঁপছিলো।যখন বাসাসিরি উপরে উঠে,তখন বিস্ফোরণ হয়।বাসাসিরি তখন তাকে হত্যা করে কক্ষের মধ্যে ফেলে দেয়, তারপর তাকে একটি বস্তুার মধ্যে রেখে দেয়।আল্পআর্সলান এর সৈন্যরা সেখানে গিয়ে লাশ বের করে আনে।পরে বাসাসিরির লাশ এর জন্য একজন আল্প পাঠায়।বাসাসিরি আগের লাশকে সড়িয়ে, সে বস্তায় ডুকে পড়ে।সেই আল্প লাশ মনে করে তাকে বাহিরে নিয়ে আসে এবং গাড়িতে রাখে।বাসাসিরি ভ্যানে করে দূর্গ থেকে পালিয়ে যায়।এর আগে আল্পাগুত টেকফুরকে স্বাগতম জানানোর জন্য তার ছেলে আলেকজান্ডারকে হাত পা বেঁধে সামনে দ্বার করিয়ে রাখে।যখন টেকফুর সেখানে উপস্থিত হয় এ দৃশ্য দেখতে পায়।
আল্পআর্সলান তার সম্মুখে হাজির হয়।আল্পআর্সলান একটি চুক্তিনামা প্রস্তুত করে এবং তাঁকে সুরমারী দিতে বলে।কিন্তু টেকফুর তাতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয় না।তখন আলেকজান্ডার এর শরীরে তীর ছুড়ে কিন্তু তবুও সে রাজি হয় না।তখন টেকফুর জানায় যুদ্ধ ছাড়া সে সুরমারী নিতে পারবে না।তখন সেখানে যুদ্ধ হয় এবং টেকফুর পরাজিত হয়।তখন সে চুক্তিনামাতে স্বাক্ষর করে এবং চলে যায়। সুলতান এর কাছে খবর পাঠানো হয়,আল্পআর্সলান সুরমারী জয় করেছে এবং বাসাসিরিকে হত্যা করেছে।জালাল আল্প সুলতান এর সামনে হাজির হয় এবং সে শুনতে পারে বাসাসিরিকে হত্যা করা হয়েছে।তখন সে কল্পনায় সুলতানকে আঘাত করে।সুলতান তাকে দায়িত্ব দেয়, তার স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য। জালাল আল্প তার দায়িত্ব মেনে নেয়।তারপর জালাল আল্প বেরিয়ে পড়ে এবং বাসাসিরিকে খোঁজের জন্য সুরমারীর কাছে যায়।আর্সলান বাসাসিরি সেখানে উপস্থিত হয়।
আল্পআর্সলান জায়গা পর্যবেক্ষণ করার পর,মার্ভ বসতিতে যায় এবং ইনাল বে'কে ডাকে।ইনাল বে উপস্থিত হয়।ইনাল বের সাথে আল্পআর্সলান এর হাতাহাতি হয়।আল্পআর্সলান ইনাল বে'কে বাসাসিরিকে সহায়তার করেছে বলে জানায় কিন্তু ইনাল বে অস্বীকার করে।সুলতান তুগরুল সেখানে উপস্থিত হয়।সুলতান তুগরুল এর সামনে ইনাল বে ও আল্পআর্সলান উপস্থিত হয়।আল্পআর্সলান ইনাল বে'কে বিরুদ্ধে বাসাসিরিকে সাহায্য করার অভিযোগ তোলে। ইনাল বে সব অভিযোগ অস্বীকার করে।তুলতান তুগরুল মনে করে টেকফুর তাের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা বলেছে। তখন সেখানে এক আল্প আসে এবং জানায় আর্সলান ইয়াবকু এর লোকেরা সুলতান এর আমন্ত্রণে এসেছে কিন্তু তারা ইনাল বে'র সাথে আলোচনায় বসতে চায়। আল্পআর্সলান এর প্রতিবাদ জানায়।সে মনে করে ইনাল বে গোপনে কিছু করতে চাচ্ছে এবং এটা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে,সুলতান তুগরুল ইনাল বে'কে নির্দেশ দেয়।কিন্তু আল্পআর্সলান চায়,সেও ইনাল বের সাথে যাবে কিন্তু সুলতান তুগরুল তাকে না বলে দেয়।
সভা শেষে আল্পআর্সলান তার আল্পদের সাথে দেখা করে এবং জানায় সে গোপনে সভায় যোগ দিবে।জালাল আল্প, আল্পআর্সলানকে অনুসরণ করে এবং সে কি কথা বলছে,তা শুনতে পায়।তারপর সে গোপনে ইনাল বে'র কক্ষে যায়।ইনাল বে রেগে যায় অনুমতি ছাড়া কক্ষে প্রবেশ করায়।তখন সে জানায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার আছে।তারপর সে বলে আল্পআর্সলান গোপনে সভায় যাবে এবং আরো জানায় বাসাসিরি মারা যায়নি।সুলতান ইনাল বে'কে ডাক দেয়।ইনাল বে জালাল আল্পকে তার তাবু থেকে পিছন দিয়ে বের করে দেয়। সুলতান তুগরুল জানায়, তার সাথে সুলতান তুগরুল এর স্ত্রী যাবে।তখন ইনাল বে কিছু ঘটেছে কিনা জানতে চায়।ইনাল বে তখন তার কথায় সম্মতি নেয়।জালাল আল্প ইনাল বে'কে বাসাসিরির নিকট নিয়ে যায় এবং তার সাথে দেখা করায়।বাসাসিরি ও ইনাল বে নতুন পরিকল্পনা করে।তারা আল্পআর্সলান এর জন্য, বৈঠক স্থলে আক্রমণ করতে বলে,যাতে সব দোষ আল্পআর্সলান এর উপর পরে।
ইয়াবকুর লোকেদের সাথে ইনাল বের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইনাল বের কথায় সুলতান তুগরুল এর স্ত্রী অবাক হয়।ইনাল বে তাদেরকে ভাসপুরাকানে বসতি স্থাপন করতে বলে।আল্পআর্সলান সেখানে উপস্থিত হয়। আল্পআর্সলান এর সাথে তর্কাতর্কি হয়।ইনাল বের কথার সাথে সে দ্বিমত পোষণ করে এবং সুলতান তুগরুল এর নির্দেশিত স্থান এর কথা বলে। বাসাসিরির লোকেরা গোপন বৈঠক এর স্থলে যায়। আল্পআর্সলান এর আল্পরা বাহিরে অবস্থান করে।বাসাসিরির লোকেরা সেখানে আক্রমণ করে।তারা আল্পআর্সলানকে পেতে চায়।ইনাল বে পরিকল্পনামাফিল তাদের উপর তলোয়ার তোলে।সেখানে লড়াই শুরু হয় এবং আর্সলান ইয়াবকুর বে'দের রক্তপাত হয়।এ রক্তপাতের জন্য ইনাল বে আল্পআর্সলানকে দায়ী করে এবং সুলতান তুগরুল এর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যায়। আল্পআর্সলান বাসাসিরির লোকেদের পিছনে যায়।আল্পআর্সলান তার আল্পদের তাদের পিছনে রেখে সে সুলতান তুগরুল এর নিকটে যায়।
আমির বাসাসিরি আল্পআর্সলানকে বন্ধী করে।তারপর সে আল্পআর্সলানকে খাঁচায় বন্ধী করে টেকফুর গ্রেগর এর কাছে হস্তান্তর করতে নিয়ে যায়।সুলতান তুগরুল ভাসপুরাকানে আসে। সে কি ঘটেছে তা জানতে চায়।ভাসপুরাকান এর লোকেরা ইনাল বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তারা জানায় ইনাল বে'র কারনে তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সুলতান তুগরুল এতে নাখোশ হয়।তারপর তাকে ভাসপুরাকান থেকে বহিষ্কার করে।কিন্তু ইনাল বে জানায়,সুলতান তাকে ভাসপুরাকান নেওয়ার আদেশ দিয়েছিলো।কিন্তু সুলতান তুগরুল তাকে থামিয়ে দেয় এবং জানায় সুলতান তুগরুল এর পরীক্ষায় সে ব্যর্থ হয়েছে।তাই তাকে ভাসপুরাকান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুলতান তুগরুল আল্পআর্সলান এর অনুপস্থিতিতে সেফেরিয়ে হাতুনকে সিংহাসনে বসতে বলে।সেফেরিয়ে হাতুন ইতস্তত বোধ করে এবং কথা বলতে চাইলে সুলতান তুগরুল তাকে থামিয়ে দেয়।তারপর তাকে মসনদে বসতে বলে।সেফেরিয়ে হাতুন মসনদে বসে। এমন সময় এক আল্প ভাসপুরাকান এ আসে এবং জানায়, পথে চাগরী বের উপর হামলা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।তখন সুলতান তুগরুল সহ বাকিরা বেরিয়ে আসে এবং বসতিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।সুলতান তুগরুল সেফেরিয়ে হাতুনকে ভাসপুরাকান এ থাকে বলেন।বাকিদের নিয়ে সুলতান তুগরুল বসতির উদ্দেশ্য রওনা হন।
যখন তারা ঘোড়ার দিকে যাচ্ছিলেন,তখন ফ্লোরা পিছন থেকে সুলেমান বে'কে ডাক দেয়।সুলেমান বে পিছনে তাকায় এবং ফ্লোরাকে দেখতে পায়।সুলেমান বে ফ্লোরার কাছে আসে।সুলতান তুগরুল এ দৃশ্য দেখতে পায় পায় এবং জিজ্ঞেস করে এ হাতুন কে?তখন আকিনায় হাতুন জানায় সে টেকফুর গ্রেগর এর মেয়ে। এবং আরো জানায় সুলেমান বে যখন ভাসপুরাকান এ ছিলো তখন সে তাকে সাহায্য করেছিলো। সুলতান তুগরুল তখন ঘোড়া কাছে চলে যায়।সুলেমান বে ফ্লোরার সাথে কথা বলে এবং জিজ্ঞেস করে কেনো সে এ অসুস্থ শরীর নিয়ে বের হয়েছে।তখন সে চাগরী বের কথা জিজ্ঞেস করে।সুলেমান বে চিকিৎসকদের ডাকে এবং ফ্লোরাকে চিকিৎসা কক্ষে নিয়ে যেতে বলে।চিকিৎসক লরা ফ্লোরাকে চিকিৎসা কক্ষে নিয়ে যায়।সুলেমান বো সুলতান তুগরুল এর সাথে বসতির উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
টেকফুর গ্রেগর বাসাসিরির সাথে দেখা করার জন্য রওনা হয়।সে তার সাথে পুরোহিতকে নেয়।পুরোহিত জানতে পারে আল্পআর্সলান বাসাসিরির হাতে আটক হয়েছে।সে আল্পআর্সলানকে বাঁচাতে পরিকল্পনা করে।টেকফুর গ্রেগর এর সাথে পুরোহিত বাসাসিরির কাছে যায়।মার্ভ বসতিতে যাওয়ার পথে ইনাল বে এক আহত সৈন্যকে দেখতে পায়।ইনাল বে তার কাছে যায় এবং জানতে চায় কি হয়েছে। তখন সেই সৈন্য জানায় আল্পআর্সলান বাসাসিরির হাতে আটক হয়েছে।ইনাল বে হায়দারকে আল্প আনার জন্য ভাসপুরাকানে পাঠায়।তার সাথে থাকি বাকি আল্পদের ভিন্ন পথে পাঠিয়ে দেয় এবং সে নিজে ভিন্ন পথে বাসাসিরির সাথে দেখা করতে যায়।যখন বাসাসিরি টেকফুরের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলো,ইনাল বে তার কমান্ডার এর বুকে তীর ছুড়ে।তখন সবাই অবস্থা নেয় এবং কে তীর ছুড়েছে তা খুঁজতে তাকে।তখন বাসাসিরির ইনাল বের গলায় তলোয়ার ধরে।ইনাল বে ও বাসাসিরি জোট বাঁধে এবং বাসাসিরিকে ভিন্ন পথে যেতে বলে।
আল্পআর্সলান এর বন্ধী হওয়ার খবর শুনে,আল্পদের নিয়ে সেফেরিয়ে হাতুন আল্পআর্সলানকে খুঁজার জন্য বের হয়।হায়দার সেফেরিয়ে হাতুনকে এক জায়গায় নিয়ে যায়।সেফেরিয়ে তার কাছে যায় এবং ইনাল বে এর খোঁজে। ইনাল বে সেফেরিয়ে হাতুন কে জানায় এই পথে আল্পআর্সলানকে নিয়ে আসবে।তখন তারা এক পথে অবস্থান নেয়।কিছুক্ষণ পর কয়েকজন বাসাসিরির সৈন্য সেখানে আসে।ইনাল বে তাদের উপর আক্রমণ করে।সেফেরিয়ে হাতুন একজন সৈন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।কথা বলার আগেই ইনাল বে তাকে হত্যা করে। তারা আল্পআর্সলানকে সেখানে পায় না।বাসাসিরি টেকফুর গ্রেগর এর সাথে ভিন্ন পথে দেখা করে।টেকফুর গ্রেগর আল্পআর্সলানকে খাঁচায় বন্ধী পেয়ে খুশি হয়।বাসাসিরির জানায় তাদের সাথে আরেকজন আছে,যে তাকে ভিন্ন পথে আসার জন্য সাহায্য করেছে।তখন জানায় তার নাম ইনাল বে।টেকফুর গ্রেগর এতে আরো খুশি হয়।সে আল্পআর্সলান এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।
তখন টেকফুররের হাত চেপে ধরে আল্পআর্সলান। তখন আল্পআর্সলান তার স্বপ্নে দেখা লোকটিকে দেখতে পায় এবং এতে সে অবাক হয়।আল্পআর্সলান তখন তাকে ছেড়ে দেয়।রোমানদের ছদ্মবেশে থাকা সৈন্যরা পিছন থেকে টেকফুর গ্রেগর ও বাসাসিরি সহ তাদের লোকেদের পিছন থেকে আক্রমণ করে।সবাই আহত হয়ে যায়।তারা আল্পআর্সলানকে মুক্ত করে এবং আল্পআর্সলানকে পালিয়ে যেতে বলে।তারপর পুরোহিত নিজে আহত হওয়ার ভান করে শুয়ে পড়ে।বাসাসিরির লোকেরা সেখানে ফিরে আসে এবং তাদের এ অবস্থা দেখতে পায়।তারা জেগে ওঠে এবং কি ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা প্রথমে বুঝে উঠতে পারে না।পরে তারা বুঝতে পারে টেকফুর এর সাথে আসা সৈন্যদের মধ্যে তিন জন কম আছে।তখন তারা বুঝতে পারে রোমানদের ছদ্মবেশে কেউ আল্পআর্সলানকে সাহায্য করেছে। তখন তারা আনিতে ফিরে যায় এবং বিশ্বাসগাতকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
আল্পআর্সলান এর সাথে সেফেরিয়ে হাতুনের দেখা হয়।ইনাল বে আল্পআর্সলানকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়।তারপর তারা চাগরী বে কে দেখতে যায়।সুলতান তুগরুল সুলেমান বে'কে জানায় তার চোখে ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে কিন্তু টেকফুর এর মেয়ে হওয়ায় তার সাথে বিবাহ হওয়া সম্ভব না।আল্পআর্সলান ভাসপুরাকান এ ফিরে আসে।সে জানতে পারে ইনাল বে গোপনে টেকফুর এর সাথে ইস্পাত বিক্রি করছে।তখন সে বানিজ্যিক বাজারে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।টেকফুর গ্রেগর তার মেয়ে ফ্লোরাকে নেওয়ার জন্য, আলেকজান্ডারকে ভাসপুরাকান এ পাঠায়।সুলেমান বে ফ্লোরাকে ভাসপুরাকান থেকে যেতে দিতে চায় না কিন্তু আল্পআর্সলান সুলতান এ কথামত ফ্লোরাকে আনিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।এতে সুলেমান বে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে। আলেকজান্ডার ফ্লোরাকে নিয়ে যায়।