জালালুদ্দিন সিজন ২ ভলিউম ১৫ বাংলা সাবটাইটেল

জালালুদ্দিন কুতলুবিকে'কে খুঁজতে থাকতে কিন্তু তার দেখা পায় না। জালালুদ্দিন তখন তার মা আয়চিচেক এর কাছে জানতে চায় সে কোথায় আছে? তখন সে জানায়, কুতলুবিকে প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছে। সুলতান আলাউদ্দিন সভায় বসে।সে সকলের মতামত জানতে চায়। সুলতানের মা তার কাছে জানায় যে, কুতলুবিকে তাকে বিষ দিয়েছে এবং তাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে।
সে পালিয়েছে, এজন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে বলে।জালালুদ্দিন তার প্রতিবাদ করে এবং তার দোষ প্রমান করতে বলে। সুলতান আলাউদ্দিন মনে করে কুতলুবিকে দোষী।এজন্য তাকে পেলে হত্যা করা হবে বলে জানায়। জালালুদ্দিন এতে দ্বিমত পোষণ করে।জালালুদ্দিন চায় সঠিক বিচার করতে এবং সে এর সাথে সম্পৃক্ত আছে কিনা প্রমান করতে বলে।কিন্তু সুলতান আলাউদ্দিন তার কথায় দৃঢ় থাকে। জালালুদ্দিন কুতলুবিকেকে বাঁচাতে চায়।
সুলতান আলাউদ্দিন যুদ্ধে ভূমিকার জন্য জালালুদ্দিন এর প্রশংসা করে কিন্তু ওয়ালিদে সুলতান কে বিষ দেওয়ার অপরাধে কুতলুবিকেকে ফাঁসির আদেশ দেয়। এবং তার ছেলে উজলোক শাহকে আদেশ করে কুতলুবিকেকে খুঁজে বের করার জন্য। মেহরিজা খানম ও শিরিন ওয়ালিদে সুলতান এর কাছে। জালালুদ্দিন এর উস্তাদ প্রাসাদে আসে।
জালালুদ্দিন এর সাথে আলাপ করে এবং চীন থেকে বারুদ আনে। জালালুদ্দিন বারুদের পরিক্ষা করে,তারপর বারুদ নিয়ে সুলতান আলাউদ্দিন এর সাথে কথা বলার পরিকল্পনা করে।কুতলুবিকে তার এক পরিচারিকাকে প্রাসাদের খবর সংগ্রহের জন্য পাঠায়।সে রাধূনী হিসেবে সেখানে যায়। জালালুদ্দিন এর এক সঙ্গী আরেকজন এর কাছে যায় এবং তাকে জালালুদ্দিন এর আদেশ এর কথা বলে।তারা কুতলুবিকেকে খুঁজতে থাকে।
ওকশাহ ও উজলোক শাহ কুতলিকেকে খুজার জন্য বাহির হয়।তারা লোকবল নিয়ে কুতলুবিকেকে খুজার কাছে বের হয়।কুতলুবিকে প্রাসাদের খবর সংগ্রহ করে এবং জানতে পারে তাকে হত্যা করা হবে।জালালুদ্দিন নিজেও কুতলুবিকেকে খুজতে বের হয় গোপনে।জালালুদ্দিন এর সাথে ওকশাহ ও উজলোক শাহ এর কথা কাটাকাটি হয়।ওকশাহ উজলোক শাহ এর সাথে যায়। তারা একেক বাড়িতে অভিযান চালাতে থাকে।জালালুদ্দিন কুতলুবিকেকে খুজে পায়।তার কাছে ঘটনা জানতে চায়।কুতলুবিকে তার দোষ অস্বীকার করে।জালালুদ্দিন তার উপর রাগান্বিত হয় এবং তার সাথে অভিমান করে।কুতলুবিকে তাকে জানায়, তার কোনো দোষ নেই।প্রাসাদে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। কুতলুবিকেকে বাচানোর প্রতিজ্ঞা করে।
যখন তারা কথা বলছিলো,ওজলোক শাহ ও ওকশাহ ঘরের মধ্যে শব্দ শুনতে পায়।তখন তারা সেখানে আক্রমণ করে।জালালুদ্দিন বুঝতে পারে কেউ তাদের আক্রমণ করছে।তখন তারা সেখান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়।উজলোক শাহ মনে করে জালালুদ্দিন সেখানে আছে এবং কুতলুবিকেকে সাহায্য করছে।জালালুদ্দিন পীরের দরবারে যায় এবং তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে।
কুতলুবিকে তার ভাই জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে বলে।জালালুদ্দিন সেখানে যায় এবং জাহাঙ্গীরকে দেখতে পারে। খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের ভিজির এক মেয়ের কক্ষে যায় এবং তার সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করে।সে মেয়টিকে সোনার হার উপহার দেয়। রান্নাঘরে রাধুনিদের সাথে জালালুদ্দিন এর মায়ের কথা কাটাকাটি হয় এবং নিজেদের কাজে মনোযোগী হতে বলে।মেহরেজা খানম সেখানে উপস্থিত হয় এবং তার সাথে ঝামেলা পাকায়।
যুদ্ধে পরাজয়ের কারনে,চেঙ্গিস খান তার ছেলে জোজি এর উপর রেগে যায় এবং তাদেরকে বন্ধি করে শাস্তি দেয়।চেঙ্গিস খান গুরগন্জে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নেয়। এজন্য সে গুরগন্জে গুপ্তচর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।ব্যবসায়ীদের ছদ্মবেশ গুপ্তচর পাঠায়।তারা গুরগন্জে ব্যবসায়ী হিসেবে আছে। সে চেঙ্গিস খান এর বার্তাবাহক হিসেবে প্রাসাদে যায় এবং সুলতান আলাউদ্দিন এর সাথে মিত্রতা স্তাপন করতে চায়।
সুলতান আলাউদ্দিন এতে সম্মত হয় এবং তাদের ব্যবসা করতে সম্মতি দেয়। জালালুদ্দিন তার সংগ্রহ করা বারুদ দিয়ে চেঙ্গিস খানদের পোড়াতে চায়।সে তার সংগ্রহ করা বারুদ এর পরীক্ষা করার জন্য সুলতান আলাউদ্দিনকে জানায়।সুলতান আলাউদ্দিন সহ অন্যান্যরা মিলে জালালুদ্দিন এর সফল পরিক্ষা সম্পন্ন করে।জালালুদ্দিন এর সাথে সুলতান আলাউদ্দিন কথা বলে এবং তাকে বাহবা দেয়।
উজলোক শাহ তার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় সে একটু রেগে যায় এবং একা একা থাকে।নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করে।শিরিন এ কথা ওয়ালিদে সুলতানকে জানায়।ওয়ালিদে সুলতানে তাকে তার সঙ্গ দেওয়ার জন্য বলে এবং তার মা মেহরিজা খানমকে শান্তনা দিতে বলে।উজলোক শাহ তার ছোটকালের শেখানে কথা স্মরন করে এবং শত্রুদের কিভাবে ঘায়েল করতে হয় তা স্মরন করে।
জালালুদ্দিন কুতলুবিকেকে বাঁচানোর জন্য প্রাসাদ থেকে বের হয়।ওকশাহ জালালুদ্দিনকে অনুসরণ করে এবং তার পিছু নেয়।জালালুদ্দিন একটি কক্ষে প্রবেশ করে।ওকশাহ সেখানে গিয়ে ঘরটিকে ঘিরে ফেলে। উজলোক শাহ সেখানে যায় এবং তাদের সেখানে থাকা নিশ্চিত করে। তারপর তারা সেকানে আছে মনে করে,ওকশাহকে সেখানে রেখে যায় এবং সে নিজে প্রাসাদে যায়।
উজলোক শাহ প্রাসাদে যায় এবং তার দাদী ওয়ালে সুলতানকে জানায়। সে তাদেরকে আটক করার আদেশ করে।উজলোক শাহ সেনাবাহিনী নিয়ে সেখানে যায় এবং ঘরটিকে ঘিরে ফেলে।জালালুদ্দিন কুতলুবিকেকে পালানোর উপায় বলে দেয়।জালালুদ্দিন সেই ঘর থেকে বের হতে গেলে সে দেখতে পায় ওকাশাহ বাহিনী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।জালালুদ্দিন বুঝতে পারে তারা তাকে অনুসরণ করেছে।
তখন সে গোপন পথে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।উজলোক শাহ তার বাহিনী নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং তল্লাশি চালায়।তখন তারা কিছু পায় না এবং মনে করে তাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়েছে।জালালুদ্দিন তখন একজন মহিলাকে ভাড়া করে এবং তাকে দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রস্তুত করে।জালালুদ্দিন একটি গাড়ি ভাড়া করে।কুতলুবিকে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এবং পালিয়ে গাড়ির কাছে যেতে তাকে।
ওকশাহ ও উজলোক শাহ তার পিছু যেতে থাকে।কুতলুবিকে সেখানে রাখা একটি গাড়ির মধ্যে ডুকে পড়ে।তারা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং গাড়ি থামাতে বলে।গাড়ি চালাক থেমে যায়।তখন তারা সেখানে কে আছে বের করে আনতে বলে।গাড়ি চালক তখন এক মহিলাকে সেখান থেকে বের করে আনে।উজলোক শাহ ও ওকশাহ তখন অবাক হয় এবং বুঝতে পারে তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। কুতলুবিকে প্রাসাদে যায় এবং সবাইকে ডাকতে থাকে।প্রাসাদের সবাই বেড়িয়ে আছে।প্রাসাদের রক্ষীরা তাকে আটকে রাখে।।
জালালুদ্দিন এর কৌশলের কাছে তারা পরাজিত হয়।জালালুদ্দিন কুতলুবিকেকে বাঁচানোর পদক্ষেপে জয়ী হয়।আগামী পর্বে কি ঘটতে চলছে? জালালুদ্দিন কি পারবে কুতলুবিকেকে বাঁচাতে? নাকি ক্রদের স্বীকার হবে কুতলুবিকে? জুজি কি হিসাসিয়াদের সাথে তার কাজ সম্পন্ন করতে পারবে?এসব দেখতে চোখ রাখতে হবে আগামী পর্বে। জালালুদ্দিন ও তুর্কী ঐতিহাসিক সিরিজগুলার বাঙলা সাবটাইটেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
জালালুদ্দিন ভলিউম ১৬ বাংলা সাবটাইটেলLabels: মেন্দিরমিন জালালুদ্দিন, মেন্দিরমিন জালালুদ্দিন সিজন ২
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home