Alparslan Buyuk Selcuklu Episode 45 Bangla Subtittle

ইনাল বে কারাগার থেকে আর্সলান বাসাসিরির সাথে পালিয়ে যায়।আর্সলান বাসাসিরি টেকফুর এর কাছে যায় এবং তাদের পরিকল্পনা করে। চাগরী বে অসুস্থ অবস্থায় রে শহরে আসে। ইনাল বে তার সৈন্য সংগ্রহ করতে থাকে সিংহাসন দখল করার জন্য। টেকফুর গ্রেগর জানতে পারে তার মেয়ে যেখানে পাঠিয়েছে সেখানে নেই।তখন সে বুঝতে পারে,সে হয়তো সুলেমান বে এর কাছে আসে। টেকফুর এর মেয়ে আত্মহত্যা করতে যায়।তার সহকারী সুলেমান বে'র কাছে আসে এবং জানায় কি ঘটেছে।সুলেমান বে তখন সেখানে যায় এবং দেখতো পায় ফ্লোরা আত্মহত্যা করার জন্য দায়িয়ে আছে।সুলেমান তবে তাকে থামতে বলে কিন্তু সে থামে না।সে জানায় সেখানে তার সাথে তার ভালোবাসার মানুষ নেই,সেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।
ফ্লোরা পড়ে যেতে থাকে,শেষমুহুর্তে সুলেমান বে তাকে বাঁচায়। সুলেমান বে তার কক্ষে নিয়ে যায় এবং তার জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত করে।টেকফুর গ্রেগর সুরমারীতে আসে এবং ফ্লোরাকে চায় কিন্তু সুলেমান বে জানায়,সে তাকে পাবে না।ফ্লোরা তুর্কিদের পোশাক পড়ে সেখানে আসে এবং জানায় সে তার সাথে যাবে না।পরে,টেকফুর খালি হাতে চলে যায়। আসন্ন যুদ্ধকে প্রতিহত করার জন্য, সুলতান সবাইকে রাজদরবারে ডাকে। সুলেমান নেও সেখানে যায়।যখন তারা ইনাল বে'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছিলো,তখন প্রহরী এসে খবর দেয় আনির টেকফুর গ্রেগর আসছে।টেকফুর সেখানে আসে এবং সে চার মেয়েকে চায় এবং জানায় তুর্কিরা তার কাছ থেকে আর কিছু পাবে না।তখন সুলতান জানায়,সে সব ভূমি জয় করবে কিন্তু তার মেয়েকে দিয়ে দিবে।তখন টেকফুর গ্রেগর চলে যায়।
সুলেমান বে সুলতান এর কথায় দ্বিমত পোষণ করতে চায় কিন্তু সুলতাব তার কথায় কর্নপাত করে না।তখন আল্পআর্সলানকে সুলতান দায়িত্ব দেয়।সে তাকে তুর্কমেন বিভিন্ন বে'দের কাছে পাঠায়।সুলেমান নে সুরমারীতে ফিরে আসে সুলেমান বে ফ্লোরাকে পাঠানো নিয়ে দ্বিধাবোধ করে এবং বে'র সাথে কথা বলে।তখন বে জানায় এটা সুলতান এর আদেশ কিন্তু ফ্লোরা যেতে চাচ্ছে না,কিভাবে সে যাবে।ফ্লোরা এসব কথা শুনতে পায়।ফ্লোরা এসব কথা শুনে কষ্ট পায় এবং সেখান থেকে গোপনে চলে যায়।পরে সুলেমান বে জানতে পারে ফ্লোরা দূর্গ থেকে পালিয়ে গেছে।তখন সুলেমান বে বুঝতে পারে কেনো সে এটা করোছে।সুলেমান বে ফ্লোরাকে ছাড়তে চায় না কিন্তু সুলতান তুগরুল এর আদেশও অমান্য করতে পারে না।সে দ্বিধাদ্বন্ধের মধ্যে পরে যায়।আাতুর বে তাকে বোঝায় এবং জানায় এটা সুলতান এর আদেশ। তাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। সুলেমান বে তখন কিভাবে ফ্লোরাকে পাঠাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে।
ইনাল বে বিভিন্ন বসতির বে'দের সাথে কথা বলে এবং তাদেরকে জড়ো করে।তারপর তাদের সাথে সিংহাসন দখল নিয়ে কথা বলে।আল্পআর্সলান ইয়াবকু বে'র সাথে দেখা করতে যায় এবং কথা বলে। ইয়াবকু বে জানায় তার অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। তখন আল্পআর্সলান জানায়,ইনাল বে তার চিরশত্রু আর্সলান বাসাসিরির সাথে কাজ করছে।তখন ইয়াবকু বে রেগে যায় এবং ইনাল বে'র এই কাজের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে চায়।ফেরার সময় আল্পআর্সলান তার দুজন আল্পকে গোপনে বনের মধ্যে রেখে যায়,যাতে ইনাল বে আসে কিনা দেখার জন্য। ইনাল বে বৈঠক শেষে ইয়াবকু বে'র সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু মনে করে আল্পআর্সলান তার সাথে বাসাসির সম্পর্কের কথা বলেছে নিশ্চিত। ইনাল বে ইয়াবকুর সাথে দেখা করার জন্য বনে যায় এবং তার বারৃতাবাহক পাঠায়।ইয়াবকু ইনাল বের সাথে দেখা জরার জন্য বের হয়।আল্পআর্সলান এর আল্পরা তাদের দেখতে পায় এবং কি ঘটতেছে তা জানার চেষ্টা করে।
চাগরী বে ইনাল বে'র সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু তার অসুস্থতার জন্য তাকে যেতে না বলে।চাগরী বে গোপনে প্রাসাদ ছেড়ে চলে যায়। সবাই চাগরী বে'ক খুঁজতে থাকে।তখন সুলতান জানায়,সে বুঝতে পেরেছে চাগরী বে কোথায় যাচ্ছে। চাগরী বে ঘোড়ায় চড়ে ইনাল বের কাছে যায়।ইনাল বে'র সাথে তাবুতে কথা বলে।তখন বাহিরে থাকে বে'রা হৈচৈ শুরু করে।বে'রা মনে করে ভাই ভাই ঠিক হয়ে যাবে মাঝ থেকে তারা বিপদে পরবে।ইনাল বে তখন রেগে যায় এবং জানায় সে তার অবস্থান থেকে নড়বে না। কিন্তু তারপরও তারা ইনাল বে'র কথার বিরুদ্ধে বলে।তখন সেখানে একটি যুদ্ধ হয় এবং বিদ্রোহীদের হত্যা করা হয়।তারপর ইনাল বে জানায় সে তার অবস্থান থেকে নড়বে না এবং রে শহরে সিংহাসন দখল করবে।চাগরী বে সেখান থেকে চলে আসতে থাকে কিন্তু তার রক্তক্ষরণ হতে থাকে।ইনাল বে তাকে তার ক্ষতের চিকিৎসা করতে বলে কিন্তু চাগরী বে তার কথা শুনে না,তারপর সে ফিরে আসতে থাকে।হঠাৎ চাগরী বে পড়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে।
ইনাল বে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়।আর্সলান বাসাসিরির টেকফুর এর কাছে যায় এবং আসন্ন যুদ্ধের ব্যাপারে বলে।টেকফুর এ যুদ্ধে অংশ নিতে চায় কিন্তু সে খ্রিস্টান হওয়ায় ইনাল বে তার কাছ থেকে সাহায্য নিতে নারাজ হয়।তখন তুর্কি পোষাকের ছদ্মবেশে টেকফুর এর সৈন্যদের জড়ো করে।তারপর তাদপরকে নিয়ে আর্সলান বাসাসিরি তার বাহিনী তৈরী করে।ইনাল বে আর্সলান বাসাসিরির সাথে যোগ দেয়। হঠাৎ ইয়াবকু বে জানায় সে তার সাথে নেই।তখন ইনাল বে রেগে যায় এবং তাকে শাস্তি দেওয়ার শপথ করে।তারপর সে তার বাহিনী নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আসে।আল্পআর্সলান তার বাহিনী নিয়ে সেখানে আসে।আল্পআর্সলান এর বাহিনী অনেক বড় হয়, এটা দেখে ইনাল বে'র সাথে থাকা সৈন্যরা ভয় পায়।ইনাল বে জানায় তার রাগই যথেষ্ট। তখন আল্পআর্সলান ডাক দিলে,ইনাল বে'র সাথে থাকা বাহিনীর একাংশ আল্পআর্সলান এর সাথে চলে আসে।
ওখে হাতুন রে প্রাসাদের দরজার সামনে আসে এবং দরজা খুলতে বলে।সে চিল্লাতে থাকে এবং ইনাল বে'কে চায়। ইনাল বে'কে জীবিত বা মৃত যোকোনো অবস্থাতেই চায়। ইনাল বে'কে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার পর,তার লাশ গাড়িতে করে বের করার জন্য দরজার সামনে রাখা হয়। ওখে হাতুনকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। ওখে হাতুন যখন ভিতরে প্রবেশ করে,সে লাশ দেখতে দেয়।সে বুঝতে পারে ইনাল বে'কে হত্যা করা হয়েছে। সে লাশের কাছে যায় এবং কাঁদতে থাকে। ওখে হাতুন সুলতান তুগরুলকে দোষারোপ করে এবং তার সম্পর্কে বাজে কথা বলে।সুলতান তুগরুল জানায়,ওখে হাতুনের কাজের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। ইনাল বে'র মৃতদেহ কবর দিতে চায় ওখে হাতুন,তখন সুলতান তুগরুল জানায় বিশ্বাসঘাতকদের খবর সেলজুক ভূমিতে হবে না।তার ওখে হাতুনকে গোন্জে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।সেলজুক সৈন্যরা ইনাল বের মৃতদেহ নিয়ে যায়, ওখে হাতুন তখন সেখান থেকে চলে যায়।
ইনাল বে'র মৃতদেহ দাফন করা হয়। কুতালমিশ বে সেখানে আসে। ওখে হাতুন কুতালমিশ বে'র উপর রেগে যায় এবং তাকে ভেলচা দিয়ে আঘাত করতে চায়। কুলালমিশ বে তাকে শান্ত হতে হবে। তারপর ইনাল বে'র দাফন সম্পন্ন করতে চায় এবং জানায় তাকে তার প্রয়োজন হবে। তারপর কুতালমিশ বে তার কাজ সম্পন্ন করে।সেলজুক সৈন্যরা ওখে হাতুনকে গাড়িতে উঠতে বলে। ওখে হাতুন গাড়িতে ওঠে,তারপর গন্জের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। টেকফুর ইনাল বে'র কাছ থেকে খবর না পাওয়ায় দ্বিধায় পরে যায় এবং খবরের অপেক্ষায় থাকে।বাতিউস টেকফুর এর কক্ষে আসে এবং জানায় ইনাল বে'কে হত্যা করা হয়েছে। তখন ইনাল বে'র সাথে পাঠানো তার সৈন্যদের সম্পর্কে জানতো চায়।তখন বাতিউস জানায় দুর্ভাগ্যক্রমে তার সৈন্যরা মারা পড়েছে। টেকফুর তখন হতাশ হয়। বাতিউস আরো জানায়, আমির বাসাসিরি পালিয়ে গেছে এবং আল্পআর্সলান এর লোকেরা তাকে খুজছে।
তখন টেকফুর গ্রেগর জানায়,তাকে দিয়ে আর কোনো কাজ হবে হবে না কিন্তু তার রেখে যাওয়া গুপ্তচর জালাল তাদের কাজে লাগবে।তখন টেকফুর গ্রেগর ঘোড়া প্রস্তুত করতে বলে কুতালমিশ বে'র কাছে যাওয়ার জন্য। এদিকে তেগিন জানায়,তার কাজ কি ঠিক হয়েছো বাকি।তখন কুতালমিশ বে জানায় যখন সে নিজে সিংহাসন পাবে তখন কেনো সেটা ইনাল বে'র হাতে তুলে দিবে।তারপর কখন রে শহরে যাবে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তেগিন,তখন কুতালমিশ বে জানায় সময় হলে যাবে এবং অপেক্ষা করে। টেকফুর গ্রেগর কুতালমিশ বে'র কাছে যায় এবং তার সাথে মিত্রতা স্থাপন করতে চায়।কুতালমিশ বে প্রথমে তার সাথে মিত্রতা করতে রাজি হয় না।টেকফুর গ্রেগর জানায়,তার সাথে ইনাল বে এমনকি আর্সলান বাসাসিরির ভালো সম্পর্ক ছিলো এবং আর্সলান বাসাসিরির গোপন তথ্য আছে যা সে জানতে এবং এটা তার কাজে লাগবে।
তখন তার কথা পরিষ্কারভাবে করতে বলে,তখন টেকফুর গ্রেগর জালাল এর কথা জানায় এবং এটাও জানায় সে বাসাসিরির ছেলে।তখন কুতালমিশ বে জানায়,বাসাসিরি তার গুপ্তচরদের সন্তান বলে থাকে। তখন টেকফুর গ্রেগর জানায় জালাল সুলতান তুগরুল এর স্ত্রীর ছেলে এবং বাসাসিরির দন্তক পুত্র। তারপর টেকফুর গ্রেগর চলে যায়। কুতালমিশ বে তখন এটা নিয়ে চিন্তা করে এবং তেগিনকে জানায়,সে প্রাসাদে যাবে এবং তার ঘোরা প্রস্তুত করতে বলে, কুতালমিশ বে রে শহরের প্রাসাদে যায় এবং সুলতান তুগরুলকে সমবেদনা জানায়। তারপর সে তার উত্তরাধিকার ঘোষণা করতে বলে। সুলতান তুগরুল তার উপর রেগে যায় এবং তাকে কষাঘাত করে। পরে কুতালমিশ বে জিজ্ঞেস করে,সে কি তার দন্তক পুত্রকে সিংহাসন দিবে নাকি। তখন সুলতান তুগরুল জিজ্ঞেস করে সে কি পাগল হয়ে গেছে নাকি,তখন কুতালমিশ বে জানায় বাসাসিরি তার দন্তক পুত্রকে পালন করেছে।
কুতালমিশ বে প্রাসাদে ডুকে,তখন সে জালালকে দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে টেকফুর গ্রেগর সঠিক বলেছে।তখন সে তার সুযোগ কাজে লাগায় এবং সুলতান তুগরুলকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দেয়। কুতালমিশ বে প্রাসাদ থেকে চলে আসে। ওখে হাতুনকে গেন্জের দিকে নিয়ে যায়। টেকফুর খবর পায়,ওখে হাতুনকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন টেকফুর সেখানে যায় এবং সেলজুক সৈন্যদের হত্যা করে, তারপর ওখে হাতুনের সাথে কথা বলে। ওখে হাতুনকে আনিতে নিয়ে যায়। ওখে হাতুন জিজ্ঞেস করে সে তার কাছে কি চায়। গ্রেগর জানায়,ইনাল বে'র হত্যার প্রতিশোধ নিতো তাকে সেখানে থাকতে হবে।আল্পআর্সলান এর সেনারা সেখানে যায় এবং আমির বাসাসিরিকে খুঁজতে থাকে।আমির বাসাসিরির গোপনে গিয়ে একটি গুহায় আশ্রয় নেয়। আতসিস এসে জানায় ইনাল বের সাথে রোমান সেনারা ছিলো।তখন আল্পআর্সলান সেখানে যায় এবং যারা বেঁচে ছিলো তাদেরকে হত্যা করে।
আল্পআর্সলান জানতে পারে বাসাসিরি একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছে।আল্পআর্সলান তার আল্পদের গোপন কৌশলে বাসাসিরিরকে নিয়ে যায়।বাসাসিরির প্রথমে বিশ্বাস করে তারা টেকফুর এর সৈন্য। কিন্তু যখন তারা যাচ্ছিলো, তখন বুঝতে পারে তারা তাদেরকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। তখন বাসাসিরি তাদেরকে ধরে ফেলে।তখন আতসিস বে তাঁদেরকে বাচায় এবং বাসাসিরিকে আল্পআর্সলান এর কাছে নিয়ে আসতে চায়। এদিকে সুলতান তার রক্ষীকে পাঠায় বাসাসিরিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার সাথে গুপ্তচর জালালকে নিয়ে আসে। সে এসে বাসাসিরিকে চায় এবং জানায় এটা সুলতান এর আদেশ। প্রথমে তারা তাদেরকে দিতে রাজি হয়নি কিন্তু পরে সুলতান এর আদেশেের কথা ভেবে যেতে দেয়।তারা আল্পআর্সলান এর কাছে আসে এবং জানায় কি ঘটেছে।তখন আল্পআর্সলান পথে যায় বাসাসিরিকে পাওয়ার জন্য। সুলতান এর লোকেরা নামাজ পড়তে বসে।জালাল বাসাসিরিকে সাহায্য করে এবং পালাতে চায়।আল্পআর্সলান সেখানে যায় এবং তাদেরকে ধরে ফেলে।তারপর তাদেরকে হত্যা করে। আর জালাল আল্পকে সুলতান এর কাছে নিয়ে আসে।
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home