কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৭ বাংলা সাবটাইটেল

একদিন পরের ঘটনা,উসমান বে ইসমেহান সুলতানকে বশে আনতে চায়।সেজন্য সে তার পরিবারের সাথে কথা বলতে থাকে।তারা এক এক জনে একেক মতামত দেয়।উসমান বে ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য প্রকাশ করতে চায়।সেজন্য সে মালহুন হাতুনকে উপহারসামগ্রী সহ ইসমেহান সুলতান এর নিকটে পাঠাতে চায়।উসমান তার এক আল্পকে ইসমেহান সুলতান এর পিছনে পাঠায়।তারপর উসমান বে সদর ঘাটতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।বালা হাতুন উসমান বে'র সাথে রওনা হয় সদর কুপ্রিহিসার এর নিকটে ঘাটিতে যাওয়ার জন্য।
কনুর আল্প ইনেগুল এ যায় এবং গুলতিগুলো চায়।কিন্তু তুর্গুত বে এগুলো আনতে অনুমতি দেয় না।তুর্গুত ও কনুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।পরে কনুর ফিরে আসে।কনুর সদর দপ্তরে অন্যন্য আল্পদের সাথে কথা বলে এবং আশা করে তুর্গুত বে তাদের সাথে যোগ দিবে।এদিকে উসমান বে তখন সদর দপ্তরে আসে।কনুর আল্প জানায় তুর্গুত বে গুলতিগুলো তাকে দেয়নি।তখন উসমান বে রেগে যায় এবং জানায় সন্ধ্যার আগে গুলতি গুলো না নিয়ে আসলে তুর্গত বে'র মাথা নিবে।তারপর তারা সেখানে প্রশিক্ষণ নেয়।কিছুক্ষণ পর তুর্গুত বে গুলতিগুলো নিয়ে আসে।তারপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাদের আলাদা পথ বেছে নেয়।
ইসমেহান সুলতান কান্তাকুজানোস এর সাথে দেখা করে এবং তার সাথে চুক্তি করে উসমান কে হত্যা করার জন্য। তখন কান্তাকুজানোস জানায় উসমান বে'র পরিকল্পনার কথা জানতে পারলেই তাকে থামানো যাবে।তখন ইসমেহান সুলতান জানায় সে নতুন বিজয়ের পথে হাটছে। কিন্তু সে কোন দূর্গ বিজয়ের পথে হাটছে তা জানে না, তখন সে কুপ্রিহিসার সহ আরো কয়েকটি দূ্গের কথা বলে। ইসমান সুলতান জানায়,তারা তাকে বাইজেন্টাইন সিংহাসনে বসার জন্য সাহায্য করবে কিন্তু তখন কান্তাকুজানোস জানায় সম্রাট অসুস্থ হওয়ার,তার স্থলে তাকে দেখা যায় এজন্য ইসমেহান সুলতান এর সাহায্যর প্রযোজন নেই।
যখন ইসমান সুলতান কান্তাকুজানোস এর সাথে কথা বলছিলো,তখন উসমান বে'র আল্প তা দেখে ফেলে।কিন্তু সেলজুক সৈন্যরা তাকে দেখে ফেলে এবং আটক করে।তার ইসমেহান সুলতান উসমান নে'র আল্পকে হত্যা করে। তারপর ইসমেহান সুলতান তুর্গুত বে'র অধীনস্ত ইনেগুলে যায়।তখন তুর্গুত বে জানায়, সে কোনো বিভ্রান্তিতে জড়াবে না।কিন্তু ইসমেহান সুলতান তখন তাকে নানাভাবে প্ররোচিত করতে থাকে। তারপর সে চলে আসে।তুর্গুত মনে মনে উসমান বে'র প্রতি ঘৃন্য মনোভাব পোষণ করে তারপর সে নিজেকে এককভাবে তুলতে চায়।সে কারো ছায়ায় থাকতে চায় না।ইসমেহান তাকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য প্রশ্রুতি দেয়,তার সাথে কাজ করলে।
বায়িন্দার বে উলোফ এর কাছে যায়।উলোফ তাকে জিজ্ঞেস করে কেনো সে এসেছে। তখন সে জানায় উসমান নতুন বিজয়ের পথে হাটছে। ইসমেহান সুলতান তাকে থামানোর নির্দেশ দিয়েছে। উলোফ তখন জিজ্ঞেস করে তার বিনিময়ে তাকে সে কি দিবে।তারপর সে সেলজুক দের থেকে ভূমি দাবি করে, যেখানে সে একা থাকবে তার ভাইদের নিয়ে।সেখানে অন্য কারো অধীনে থাকবে না।তারপর সে সেলজুক সুলতান এর কাছ থেকে সিলমোহর সহ একটি দূর্গের মালিকানা চায়।তারপর বায়িন্দার জানায় একজন্য সে সুলতানার কাছে দাবি করবে কারন এতে তার এখতিয়ার নেই।তখন ওলোফ জানায় সে যদি পরবর্তীতে খালিহাতে ফিরে আসে তাহলে তাকে হত্যা করবে।তারপর বায়িন্দার চলে আসে।
ইসমেহান সুলতান সোগুতে তার দপ্তরখানায় বসে।তারপর সে ইয়েনিশেহিরের ব্যবসায়ী মার্তাকে ডাকে।মার্তা তখন সেখানেও যায়।ইসমেহান সুলতান তখন তার আসল নাম ধরে ডাকে।তখন সে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে তারপর বলে নিশ্চয়ই তার নিজের লোকরা হয়তো তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ইসমেহান মার্তার সাথে কথা বলে।মালহুন হাতুন তখন সেখানে উপস্থিত হয়।মালহুন হাতুন সেখানে মার্তাকে দেখতে পায় এবং সে অবাক হয়।তারপর মার্তা সেখান থেকে চলে গেলে মালহুন হাতুন ইসমেহান সুলতান এর সাথে কথা বলে, তারপর সে তার প্রতি আনুগত্যর কথা জানায় এবং উপহার সামগ্রী নিতে বলে।
বায়িন্দার ইয়েনিশেহিরে আসে এবং দেখতে পায় আলচিচেক এর সাথে আকতেমুর কথা বলতেছে।তখন বায়িন্দার রেগে যায় এবং তারাতাড়ি তার কাজ সম্পন্ন করতে চায়।তখন সে বেঙ্গি হাতুনের কাছে যায় এবং আলচিচেক কে সে বিয়ের কথা জানায়।বেম্গি হাতুন প্রথমে অবাক হয় এবং জানায় এজন্য সে ওক্তেম বের রাজি হতে হবে।তখন বায়িন্দার জানায়, ওক্তেম বে'কে রাজি করাতে পারবে বেঙ্গি হাতুন।আলচিচেক এসব দেখতে পায়।আলচিচেক তখন আকতেমুর এর সাথে কথা বলে।আকতেমুর তখন ঘাটিতে উসমান বে'র কাছে যায়।উসমান বে তাদেরকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়।আকতেমুর তখন সবকিছু খুলে বলে।উসমান বে তখন তৎক্ষনাৎ ওক্তেম বে কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।
বায়িন্দার আকতেমুর এর পিছু নেয় এবং উসমান বে'র ঘাটি সম্পর্কে জানতে পারে।তখন সে তার সহকারী হুসাইনকে ওলোফ এর কাছে পাঠায় এবং উসমান বে'র ঘাটি সম্পর্কে জানাতে বলে।তারপর সে সুলতানার কাছে জানায়।এবং জানায় উসমান তার ভাতিজা আকতেমুর এর জন্য আলচিচেক এর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে তার সবকিছু খুলে বলে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলে।তখন ইসমেহান সুলতান ওক্তেম বে'র কাছে যায়।বেঙ্গি হাতুন উসমান বে'র কাছে আলচিচেক কে দিতে না বলে কিন্তু ওক্তেম বে জানায় সে আলচিচেকজে উসমান বে'র ভাতিজার জন্য দিবে।এ নিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় কিছুক্ষণ।
তখন ইসমেহান সুলতান সেখানে চায় এবং বায়িন্দার বে'র জন্য আলচিচেককে চায়।ওক্তেম বে তখন কিছু বলে না।তারপর কিছুক্ষণ পর উসমান বে ও তার পরিবার নিয়ে ওক্তেম বে'র কাছে যায়। তখন ওসমান বে দেখতে পায় সেখানে ইসমেহান সুলতান।তখন উসমান বে আকতেমুর এর জন্য আলচিচেক কে চায়।এদিকে ইসমেহান সুলতান বায়িন্দার বে'র জন্য আলচিচেক কে চায়। তখন বায়িন্দার বে দ্বিধায় পরে যায় এবং জানায় ইসমেহান সুলতান এর কথায় সে একমত।তখন সমান বে সেখান থেকে চলে আসে। ওলোফ খবর পেয়ে সদর দপ্তরে যায় এবং সেখানে সে হামলা চালায়।
কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৭ বাংলা সাবটাইটেল
<Labels: কুরুলুস উসমান, কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৭ বাংলা সাবটাইটেল, কুরুলুস উসমান সিজন ৪
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home