Wednesday, December 28, 2022

বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ২ বাংলা সাবটাইটেল

barbaroshyreddin-ep2

 স্পানিশরা ১০ জন মুসলিম বন্দীদের নিয়ে স্পেন এর জন্য জাহাজে রওনা হয়।বন্দীদের সাথে গর্ভনরের মেয়েকে স্পেনে পাঠাতে চায়।যদিও গর্ভনর এর মেয়ে তাদের সাথে যেতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে গর্ভর্নের মেয়ে কয়েকজন রোডস এর সাথে নৌকায় করে জাহাজের দিকে রওনা দেয়।বারবারোস জানতে পারে রোডসের জাহাজে কয়েকজন মুসলিম বন্দী আছে।সে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।নৌকায় চড়ে জাহাজের নিকট আসে এবং অসহায়ত্বের ভান করে জাহাজে থাকা রোডস এর নিকট সাহায্য চায় এবং জাহাজে ওঠে।তারপর সেখানে আক্রমণ করে জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।গভর্নরের মেয়েসহ কয়েকজন রোডস জাহাজে আসলে বারবারোস হায়রেদ্দিন তাদের আক্রমণ করে এবং নদীতে ফেলে দেয়।গভর্নরের মেয়েকে বন্দী করে।

বারবারোসলার সিজন ২ ভলিউম ২ বাংলা সাবটাইটেল 

স্পেনের রাজা শার্কলেন এবং তার স্ত্রী ইসাবেল পোপের নিকটে যায় এবং রোমের শাসক হতে আগ্রহ প্রকাশ করে।পোপ তাদের সাথে কথা বলে।তখন জানতে পারে বারবারোস হায়রেদ্দিন স্পানিশ জাহাজে আক্রমণ করেছে এবং বন্দীদের মুক্ত করেছে।এছাড়া গভর্নরের মেয়েকে আটক করেছে। তখন একজন কমান্ডারকে দায়িত্ব দেয় বারবারোস হায়রেদ্দিনকে ধরার জন্য এবং বারবারোস হায়রেদ্দিনকে ধরে আনতে পারলে বিপুল পরিমান স্বর্নমুদ্রা দেওয়ার প্রশ্রুতি দেয়।এডমিরাল বারবারোসাকে আক্রমণ এর জন্য যায়।সমুদ্রে ঝড় হওয়ার কারনে বারবারোসা সিদ্ধান্ত নেয় পাশ্ববর্তী একটি দ্বীপে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। এডমিরাল তাদের জাহাজে অবস্থান খুঁজে পায় এবং আক্রমণ এর প্রস্তুতি নেয়। বারবারোস হায়রেদ্দিন তাদের দেখতে পায় এবং তাদের আক্রমণ করে লন্ডভন্ড করে দেয়।পরে সেই এডমিরালকে পোপ এর কাছে পাঠিয়ে দেয়।


বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ২ ট্রেইলার বাংলা সাবটাইটেল 

এডমিরাল পোপের কাছে যায় এবং তার সাথে যা ঘটেছে তা খুলে বলে এবং পোপকে দোষী করে। পোপ তখন তারপর রেগে যায়।স্পেনের রাজা শার্লকে সেই এডমিরালকে হত্যা করে। পোপ এমন কাউকে খোঁজে যে বারবারোস হায়রেদ্দিন এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে।তখন রাজা শার্লকের স্ত্রী ইসাবেলা একজন এডমিরাল এর নাম বলে যে বারবারোসাকে পরাজিত করতে পারে যার নাম এডমিরাল আন্দ্রেয়াল দরিয়া।রাজা শার্লকে তাঁকে নিতে নারাজ হয় কারণ সে প্রচুর স্বর্নমুদ্রা নেয়।ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সকোভা তাকে ৫০ লক্ষ স্বর্নমুদ্রা দেয়। কিন্তু তার জন্য ৭০ ফ্রা দিবে বলে জানায়।পোপ তাকে চায়।পোপ রাজাকে জানায় যদি সে রোম এর সিংহাসন পেতে চায় তবে তাকে বারবারোসকে পরাজিত করতে এডমিরাল আন্দ্রেয়াল দরিয়াকে চায়।তারা পোপ এর কাছ থেকে বের হয় এবং রাজা শার্লকে ইসাবেলার উপর রেগে যায়।

বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ০২ বাংলা 

শার্লকে ও ইসাবেলা ধার নেওয়ার জন্য স্পেনের সবচেয়ে ধনী মহিলা মিয়া ডি লুনার কাছ থেকে ঋণ নিতে চায় কিন্তু তারা তার বাবাকে হত্যা করেছে তাই অন্যদের দিয়ে ধার নিতে চায়।সুলতান সুলেইমান বারবারোস হায়রেদ্দিন এর কাছে বার্তাবাহক পাঠায়।কাপ্তান ই দরিয়া- কেমালকেস পাশার মা এ নিয়ে তার সাথে কথা বলে।কেমালকেশ জানায় সে সবকিছু জানে।তখন তাদের বার্তাবাহক জানায় সুলতান এর লোক বারবারোস হায়রেদ্দিন এর কাছে গেছে। বারবারোস হায়রেদ্দিন এর কাছে চিঠি নিয়ে যায়।বারবারোস হায়রেদ্দিন সুলতান এর সাথে দেখা করার জন্য রাজধানীতে যায়।সুলতান তাকে দায়িত্ব দেয়।ফ্রান্সের রাজা এডমিরাল আন্দ্রেয়াল দরিয়াকে হত্যা করার জন্য লোক পাঠায়।সে তাকে নিয়ে ফ্রান্সের রাজার কাছে আসে এবং তার পাঠানো লোককে হত্যা করে এবং জানায় তাকে হত্যা করার জন্য এ লোক যথেষ্ট নয়।


বারবারোসাকে তার পরিবারসহ রাজধানীতে স্থানান্তর হতে বলে।হায়রেদ্দিন তার পরিবারকে স্থানান্তর বিষয়ে জানায়।হায়রেদ্দিন চায় তার ছেলে রাজধানীতে মাদ্রাসায় পড়ুক।সুলতান তার কথায় সম্মতি দেয় কিন্তু তার ছেলে তার সাথে যুদ্ধ করতে চায়। সে মারাসায় যেতে চায় না।হায়রেদ্দিন তার পরিবারকে রাজধানীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলে তারপর সে ফ্রান্সে যায়। ফ্রান্সে গিয়ে মিয়া ডি লুনা এর সাথে দেখা করে।সেখানে একজন অটোমান গুপ্তচরকে রোডসরা ধরে ফেলে।পালিয়ে যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটা নোট পড়ে যায়।সরাইখানার এক মহিলা সেটা পায় এবং সেটা মিয়া ডি লুনা এর কাছে দেয়।নোট না পেয়ে তাকে নির্যাতন করে এবং একটি গির্জায় নিয়ে যায়।হায়রেদ্দিন ও তার সহকারী পুরোহিত এর পোশাক পড়ে,তারপর গির্জায় প্রবেশ করে এবং রোডসদের হাতে বন্দীকে উদ্ধার করে।

বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ২ বাংলা সাবটাইটেল 

Labels: , ,

Monday, December 26, 2022

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১০

20221225-211132

 উসমান বে'কে চারদিক থেকে মোঙ্গলরা ঘিরে ফেলে।বায়িন্দার বে সেখানে আসে।বায়িন্দার বে উসমান বে'র গলায় তলোয়ার ধরে এবং বলে দেখো উসমান তোমার অবস্থা। তখন উসমান বে বলে শেয়ালদের রাজত্ব ততক্ষণ, যতক্ষণ নেকড়েরা ঘুমিয়ে থাকে।উসমান বে সবাইকে পরাজিত করতে শুরু করে।তখন মোঙ্গলরা উসমান বে'কে রশি দিয়ে বেধে ফেলে।উসমান বে সেখান থেকে বের হতে যায়,তখন তাকে জাল দিয়ে আটকে ফেলে।বোরান আল্প,ও বাকি আল্পরা সেখানে আসে এবং তাদের সাথে লড়াইয়ে জড়ায়।বোরান ও বাকি আল্পদের ধরে ফেলে।উসমানকে আত্মসমর্পণ করতে বলে।তখন আল্পদের বাঁচাতে উসমান বে আত্মাসমর্পন করে।মোঙ্গল কমান্ডার তাদের বন্ধী করে এবং প্রবেশদ্বারে নিয়ে যায়। উসমান বে'কে খাঁচায় বন্ধী করে এবং বাকি আল্পদের নির্যাতন করে।

অনুবাদ মিডিয়া কুরুলুস উসমান ভলিউম ১১০

আলাউদ্দিন বে ও দুরসুন ফকিহ সুলতান আলাউদ্দিন এর কাছে যায়।ভিজির এর সামনে আলাউদ্দিন ও দুরসুন ফকিহ দেখা করে। তারা সুলতান আলাউদ্দিন এর সাথে দেখা করতে চায়।কিন্তু ভিজির তাদের ডুকতে দেয়না এবং দুরসুন ফকিহ এর সাথে কটু কথা বলে। আলাউদ্দিন বে'কে বলে এটা ইয়েনিশেহির না এটা বড় প্রাসাদ। তখন আলাউদ্দিন বে জানায় বড় প্রাসাদ হলো স্বাধীনতা।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দ্রুত সুলতান আলাউদ্দিনকে জানাতে হবে।তখন তাদেরকে সুলতান এর দরবারে প্রবেশ করতে দেয়।আলাউদ্দিন বে সুলতান এর সাথে কথা বলতে চায়।সে চায় কথাগুলো সুলতান আলাউদ্দিনকে একা বলতে কিন্তু সে সবার সামনে বলতে বলে।কিন্তু আলাউদ্দিন বে জানায় এটা রাস্ট্রের বিষয়,এটা গোপনে বলতে হবে।তখন সুলতান আলাউদ্দিন সবাইকে বাহিরে যেতে বলে।


সবাই বাহিরে গেলে আলাউদ্দিন বে সুলতানকে জানায়,তারা সুলতান আলাউদ্দিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।সুলতান আলাউদ্দিন এতে রেগে যায় এবং জানতে চায় কে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,যারা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সুলতান আলাউদ্দিন এতে রেগে যায়। প্রমান কি তার কথার জানতে চায়।তখন আলাউদ্দিন বে জানায়,তার বাবা উসমান প্রাসাদে এসেছে, তাকে সাহায্য করতে কিন্তু মোঙ্গলরা ডাকে বন্ধী করেছে এবং গোপনে হত্যা করতে চাইছে যাতে সে আপনে সাহায্য করতে না পারে। তখন সে উসমান বে'কে দেখতে যায়।সে দেখতে পায় মোঙ্গল কমান্ডার তাকে বন্ধী করে তার আল্পদের শাস্তি দিচ্ছে। তখন সুলতান আলাউদ্দিন তাদেরকে থামতে বলে এবং উসমান বে'কে তার সাথে আসতে বলে।উসমান বে তার সাথে যায় এবং তার আল্পদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১০ বাংলা সাবটাইটেল 

উসমান বে সুলতান এর দরবারে যায় এবং তার কথা বলে।সে মোঙ্গল কমান্ডারকে ফাঁশিয়ে দেয়। মোঙ্গল কমান্ডারকে বন্ধী করা হয়।বায়িন্দার বে'কে উসমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়।তারপর সভা শেষ করা হয়।সুলতান আলাউদ্দিন মনে করে,আসল সমস্যা তার চাচা মাসুদ।তাই তার চাচা মাসুদকে ফাঁশি দিতে চায়।এদিকে উসমান বে মাসুদকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করে। তুরান আল্প সৈন্যদের ছদ্মবেশে সেলজুক সৈন্যদের সাথে মিশে যায়।বোরান আল্প জানতে পারে,মোঙ্গলরা সুলতান মাসউদকে হত্যা করতে যাচ্ছে। উসমান বে তাদের পিছু নেয় এবং সুলতান মাসউদকে আটকে রাখা ঘর খুঁজে পায়।মোঙ্গলরা সুলতান মাসুদের গলায় রশি আটে।তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে।উসমান বে ও তার আল্পরা পিছনের দরজা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে।তারপর মোঙ্গলদের উপর আক্রমণ চালায়।উসমান বে ও তার আল্পরা মোঙ্গলদের পরাজিত করে এবং সুলতান মাসুদকে উদ্ধার করে। 



ইসমেহান সুলতান ইয়েনিশেহিরে যায় এবং ইয়েনিশেহির তার অধীনে নিতে চায়।ইয়েনিশেহিরে প্রবেশ করা সব খাবার জব্দ করে এবং ইয়েনিশেহিরে দুর্ভিক্ষ লাগাতে চায়। এজন্য সে ব্যবসায়ীদের উত্তেজিত করে তোলে এবং তাদেরকে উসমান বের বিরুদ্ধে উস্কে দেয় এবং ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য স্বীকার করতে বলে।ইসমেহান সুলতান ইয়েনিশেহিরের মালিকানা নিতে চায়।বালা হাতুন এতে রেগে যায় এবং ইসমেহান সুলতান এর সামনে ছুড়ি বের করে।মালহুন হাতুন তাকে থামিয়ে দেয়।ইসমেহান সুলতান বালা এবং মালহুন হাতুন এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে চায়।এজন্য সে বালা হাতুনকে প্ররোচিত করে এবং তার সাথে দেখা করতে বলে।



বাজারের ব্যবসায়ীরা গোলমাল করে এবং সবাই সমবেত হয় এবং মিশিল করে।তারা উসমান বের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য স্বীকার করতে চায়।মালহুন হাতুন দূর্গ থেকে খাবার আনতে চায় কিন্তু জানতে পারে দূর্গের খাবার বন্ধ হয়ে গেছে। তখন মালহুন হাতুন সিদ্ধান্ত নেয়,সেখানে খাবারগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে সেখানে আক্রমণ করবে।তখন তারা কয়েকটি গুহাকে বিবেচনা করে এবং তাদের মধ্যে একটিকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। তারপর জেরকুতায় ও গুর্বুজ আল্পকে পাঠায় তাদের অবস্থান জানার জন্য। তারা তাদের অবস্থা খুজে বের করে।মালহুন হাতুন তাদের আক্রমণ করার জন্য যায়।তুর্গুত বে খাবার নিয়ে যেতে চায়। এজন্য সে বে'দেরকে ডাকে এবং তাদেরকে নিয়ে আক্রমণ করতে যায়।মালহুন মালামাল এ আক্রমণ করে। তুর্গুত বে বে'দেরকে নিয়ে সেখানে যায় এবং মালহুন হাতুনদের সাহায্য করে।


কুরুলুস উসমান ভলিউম ১১০ বাংলা সাবটাইটেল 

Labels: , ,

Saturday, December 24, 2022

আল্পআর্সলান ভলিউম ৩৯ বাংলা সাবটাইটেল

20221224-122907

 আমির বাসাসিরি আল্পআর্সলানকে বন্ধী করে।তারপর সে আল্পআর্সলানকে খাঁচায় বন্ধী করে টেকফুর গ্রেগর এর কাছে হস্তান্তর করতে নিয়ে যায়।সুলতান তুগরুল ভাসপুরাকানে আসে। সে কি ঘটেছে তা জানতে চায়।ভাসপুরাকান এর লোকেরা ইনাল বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তারা জানায় ইনাল বে'র কারনে তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সুলতান তুগরুল এতে নাখোশ হয়।তারপর তাকে ভাসপুরাকান থেকে বহিষ্কার করে।কিন্তু ইনাল বে জানায়,সুলতান তাকে ভাসপুরাকান নেওয়ার আদেশ দিয়েছিলো।কিন্তু সুলতান তুগরুল তাকে থামিয়ে দেয় এবং জানায় সুলতান তুগরুল এর পরীক্ষায় সে ব্যর্থ হয়েছে।তাই তাকে ভাসপুরাকান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


সুলতান তুগরুল আল্পআর্সলান এর অনুপস্থিতিতে সেফেরিয়ে হাতুনকে সিংহাসনে বসতে বলে।সেফেরিয়ে হাতুন ইতস্তত বোধ করে এবং কথা বলতে চাইলে সুলতান তুগরুল তাকে থামিয়ে দেয়।তারপর তাকে মসনদে বসতে বলে।সেফেরিয়ে হাতুন মসনদে বসে। এমন সময় এক আল্প ভাসপুরাকান এ আসে এবং জানায়, পথে চাগরী বের উপর হামলা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।তখন সুলতান তুগরুল সহ বাকিরা বেরিয়ে আসে এবং বসতিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।সুলতান তুগরুল সেফেরিয়ে হাতুনকে ভাসপুরাকান এ থাকে বলেন।বাকিদের নিয়ে সুলতান তুগরুল বসতির উদ্দেশ্য রওনা হন।

অনুবাদ মিডিয়া আল্পআর্সলান ভলিউম ৩৯ বাংলা সাবটাইটেল 

যখন তারা ঘোড়ার দিকে যাচ্ছিলেন,তখন ফ্লোরা পিছন থেকে সুলেমান বে'কে ডাক দেয়।সুলেমান বে পিছনে তাকায় এবং ফ্লোরাকে দেখতে পায়।সুলেমান বে ফ্লোরার কাছে আসে।সুলতান তুগরুল এ দৃশ্য দেখতে পায় পায় এবং জিজ্ঞেস করে এ হাতুন কে?তখন আকিনায় হাতুন জানায় সে টেকফুর গ্রেগর এর মেয়ে। এবং আরো জানায় সুলেমান বে যখন ভাসপুরাকান এ ছিলো তখন সে তাকে সাহায্য করেছিলো। সুলতান তুগরুল তখন ঘোড়া কাছে চলে যায়।সুলেমান বে ফ্লোরার সাথে কথা বলে এবং জিজ্ঞেস করে কেনো সে এ অসুস্থ শরীর নিয়ে বের হয়েছে।তখন সে চাগরী বের কথা জিজ্ঞেস করে।সুলেমান বে চিকিৎসকদের ডাকে এবং ফ্লোরাকে চিকিৎসা কক্ষে নিয়ে যেতে বলে।চিকিৎসক লরা ফ্লোরাকে চিকিৎসা কক্ষে নিয়ে যায়।সুলেমান বো সুলতান তুগরুল এর সাথে বসতির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। 


টেকফুর গ্রেগর বাসাসিরির সাথে দেখা করার জন্য রওনা হয়।সে তার সাথে পুরোহিতকে নেয়।পুরোহিত জানতে পারে আল্পআর্সলান বাসাসিরির হাতে আটক হয়েছে।সে আল্পআর্সলানকে বাঁচাতে পরিকল্পনা করে।টেকফুর গ্রেগর এর সাথে পুরোহিত বাসাসিরির কাছে যায়।মার্ভ বসতিতে যাওয়ার পথে ইনাল বে এক আহত সৈন্যকে দেখতে পায়।ইনাল বে তার কাছে যায় এবং জানতে চায় কি হয়েছে। তখন সেই সৈন্য জানায় আল্পআর্সলান বাসাসিরির হাতে আটক হয়েছে।ইনাল বে হায়দারকে আল্প আনার জন্য ভাসপুরাকানে পাঠায়।তার সাথে থাকি বাকি আল্পদের ভিন্ন পথে পাঠিয়ে দেয় এবং সে নিজে ভিন্ন পথে বাসাসিরির সাথে দেখা করতে যায়।যখন বাসাসিরি টেকফুরের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলো,ইনাল বে তার কমান্ডার এর বুকে তীর ছুড়ে।তখন সবাই অবস্থা নেয় এবং কে তীর ছুড়েছে তা খুঁজতে তাকে।তখন বাসাসিরির ইনাল বের গলায় তলোয়ার ধরে।ইনাল বে ও বাসাসিরি জোট বাঁধে এবং বাসাসিরিকে ভিন্ন পথে যেতে বলে।


আল্পআর্সলান বুয়ুক সেলজুক সিজন ২ বাংলা সাবটাইটেল 

আল্পআর্সলান এর বন্ধী হওয়ার খবর শুনে,আল্পদের নিয়ে সেফেরিয়ে হাতুন আল্পআর্সলানকে খুঁজার জন্য বের হয়।হায়দার সেফেরিয়ে হাতুনকে এক জায়গায় নিয়ে যায়।সেফেরিয়ে তার কাছে যায় এবং ইনাল বে এর খোঁজে। ইনাল বে সেফেরিয়ে হাতুন কে জানায় এই পথে আল্পআর্সলানকে নিয়ে আসবে।তখন তারা এক পথে অবস্থান নেয়।কিছুক্ষণ পর কয়েকজন বাসাসিরির সৈন্য সেখানে আসে।ইনাল বে তাদের উপর আক্রমণ করে।সেফেরিয়ে হাতুন একজন সৈন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।কথা বলার আগেই ইনাল বে তাকে হত্যা করে। তারা আল্পআর্সলানকে সেখানে পায় না।বাসাসিরি টেকফুর গ্রেগর এর সাথে ভিন্ন পথে দেখা করে।টেকফুর গ্রেগর আল্পআর্সলানকে খাঁচায় বন্ধী পেয়ে খুশি হয়।বাসাসিরির জানায় তাদের সাথে আরেকজন আছে,যে তাকে ভিন্ন পথে আসার জন্য সাহায্য করেছে।তখন জানায় তার নাম ইনাল বে।টেকফুর গ্রেগর এতে আরো খুশি হয়।সে আল্পআর্সলান এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।


তখন টেকফুররের হাত চেপে ধরে আল্পআর্সলান। তখন আল্পআর্সলান তার স্বপ্নে দেখা লোকটিকে দেখতে পায় এবং এতে সে অবাক হয়।আল্পআর্সলান তখন তাকে ছেড়ে দেয়।রোমানদের ছদ্মবেশে থাকা সৈন্যরা পিছন থেকে টেকফুর গ্রেগর ও বাসাসিরি সহ তাদের লোকেদের পিছন থেকে আক্রমণ করে।সবাই আহত হয়ে যায়।তারা আল্পআর্সলানকে মুক্ত করে এবং আল্পআর্সলানকে পালিয়ে যেতে বলে।তারপর পুরোহিত নিজে আহত হওয়ার ভান করে শুয়ে পড়ে।বাসাসিরির লোকেরা সেখানে ফিরে আসে এবং তাদের এ অবস্থা দেখতে পায়।তারা জেগে ওঠে এবং কি ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা প্রথমে বুঝে উঠতে পারে না।পরে তারা বুঝতে পারে টেকফুর এর সাথে আসা সৈন্যদের মধ্যে তিন জন কম আছে।তখন তারা বুঝতে পারে রোমানদের ছদ্মবেশে কেউ আল্পআর্সলানকে সাহায্য করেছে। তখন তারা আনিতে ফিরে যায় এবং বিশ্বাসগাতকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।


আল্পআর্সলান সিজন ২ ভলিউম ৩৯

আল্পআর্সলান এর সাথে সেফেরিয়ে হাতুনের দেখা হয়।ইনাল বে আল্পআর্সলানকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়।তারপর তারা চাগরী বে কে দেখতে যায়।সুলতান তুগরুল সুলেমান বে'কে জানায় তার চোখে ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে কিন্তু টেকফুর এর মেয়ে হওয়ায় তার সাথে বিবাহ হওয়া সম্ভব না।আল্পআর্সলান ভাসপুরাকান এ ফিরে আসে।সে জানতে পারে ইনাল বে গোপনে টেকফুর এর সাথে ইস্পাত বিক্রি করছে।তখন সে বানিজ্যিক বাজারে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।টেকফুর গ্রেগর তার মেয়ে ফ্লোরাকে নেওয়ার জন্য, আলেকজান্ডারকে ভাসপুরাকান এ পাঠায়।সুলেমান বে ফ্লোরাকে ভাসপুরাকান থেকে যেতে দিতে চায় না কিন্তু আল্পআর্সলান সুলতান এ কথামত ফ্লোরাকে আনিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।এতে সুলেমান বে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে। আলেকজান্ডার ফ্লোরাকে নিয়ে যায়।

আল্পর্সলান ভলিউম ৩৯ বাংলা সাবটাইটেল 

Labels: , ,

Saturday, December 17, 2022

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৯

20221217-191657

 উসমান বে জিজ্ঞেস বালা হাতুনকে জিজ্ঞেস করে,কিভাবে আলচিচেককে অপহরণ করেছে? বালা হাতুন বর্ননা দেয়।উলগেন হাতুন হাসিতে ফেটে পড়ে।পড়ে থেমে জানায়,আলচিচেক এর সহকারী খুবই সাহসী। যখন তারা আলচিচেককে নিয়ে বের হয়,তখন বেঙ্গি হাতুন কক্ষে প্রবেশ করলে সে দরজা বন্ধ করে দেয়।পরে বালা হাতুন উসমান বে'কে জিজ্ঞেস করে,কিভাবে সে দূর্গ থেকে ফিরতে পেরেছে।তখন উসমান বে জানায়,সে বলছিলো দূর্গের পাশে গোলাবারুদ রাখা আছে।তখন তারা তাকে দূর্গ থেকে বের হতে দেয়।পরে তারা বুঝি পারে,উসমান মিথ্যা বলেছে। উসমান বে'র পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চায়,তখন উসমান বে জানায়,তার কথামতো ইনেগুল নিবে এবং সেখানে আলচিচেক ও আকতেমুর এর বিয়ে হবে।

কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৯ সিজন ৪

উসমান বে বোরান আল্প'কে নির্দেশ দেয়,আল্পদের প্রস্তুত করতে এবং সোগুত থেকে আল্পদের নিতে।তখন বালা হাতুন জানতে চায়,সে কি তুর্গুত বে'র সাথে যুদ্ধে জড়াবে?তখন উসমান বে জানায়,প্রথমে তুর্গুত বে, পরে পুরো বিশ্বের সাথে লড়াই করবে প্রয়োজনে।আলচিচেক কে অপহরণ করায় বায়িন্দার বে রেগে যায় এবং সে ওক্তেম বে'র সাথে রাগারাগি করে।সে তার স্ত্রীকে অপহরণ করার জন্য উসমান বে'কে শাস্তি দিতে চায়।তখন ওক্তেম বে প্রথমে তার ভাষা ঠিক করতে বলে।সে বলে, আলচিচেক তোমার স্ত্রী নয়,আমার মেয়ে।তখন বেঙ্গি হাতুন সেখানে আসে এবং বায়িন্দার বে'র পক্ষ নেয় এবং জানায় উসমান বে'র এ কাজের জন্য তাকে মূল্য দিতে হবে।তখন ওক্তেম বে, আল্পদের প্রস্তুত হতে বলে ইয়েনিশেহিরে যাওয়ার জন্য। তখন বায়িন্দার তাদের সাথে যেতে চাইলে,তাকে বাঁধা দেয়।


ইসমেহান সুলতান ইনেগুল এ তুর্গুত বে'র সাথে কথা বলে।কুতান এসে জানায়,সে দূর্গের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।তখন ইসমেহান সুলতান জানায়,দূর্গের নিরাপত্তার কোনো প্রয়োজন নেই।তখন তুর্গুত বে বলে আমি উসমান বে'কে যতটা জানি, আপনি তার কিছুই জানেন না।তখন ইসমেহান বলে,তুমি উসমান বে'কে যতটা জানো ইসমেহান সুলতান কে তার কিছু জানো না।তখন ইসমেহান সুলতান সৈনিকদের ডাক দেয়।তখন সেলজুক সৈন্যরা সামনে আসে এবং তীরন্দাজ রা আসে।তুর্গত বে তারপর ও জানায় দূর্গের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। তখন উসমান বে দূর্গে প্রবেশ করে এবং যারা বাঁধা দিতে আসে, তাদেরকে পরাজিত করে।তারপর অনুমতি ছাড়াই কক্ষে প্রবেশ করে।ইসমেহান সুলতান এর সাথে উসমান বের কথা কাটাকাটি হয়।উসমান বে'কে আটক করতে চায়।


অনুবাদ মিডিয়া কুরুলুস উসমান সিজন ৪

আলচিচেক  আকতেমুর এর কক্ষে আসে এবং তার অবস্থা দেখতে পায়।আলচিচেক এর জন্য দুঃখ অনুভব করে।আয়েশা হাতুন আকতেমুর এর পরিচর্যা করে।আকতেমুর তার মাকে কক্ষ থেকে বের হতে বলে এবং আলচিচেক এর সাথে কথা বলে।আকতেমুর আলচিচেক এর কাছে অভিমান করে,কারন যখন সে তার জন্য শত্রুদের হাতে বন্ধী হয়,তখন সে বায়িন্দার কে বিয়ে করতে বসেছে।আকতেমুর আলচিচেককে চলে যেতে বলে।ওক্তেম বে ও বেঙ্গি হাতুন তার আল্পদের নিয়ে ইয়েনিশেহিরে আসে।তারা ওসমান বে'র কক্ষে ডুকতে চায় কিন্তু উসমান বে'র প্রাসাদের রক্ষীরা বাঁধা দেয়।তারা আক্রমন করতে চাইলে,বালা হাতুন ও মালহুন হাতুন সেখানে উপস্থিত হয়।তারা তাদের সাথে কথা বলে।তখন আলচিচেক বেরিয়ে আসে এবং তার বাবা মায়ের সাথে চলে যেতে চায়।পিছনে আকতেমুর ও আসে।আলচিচেক তার বাবার কাছে যায়।


বালা হাতুন,মালতুন হাতুন ও আয়েশা হাতুন অবাক হয়।ওক্তেম বে আলচিচেককে নিয়ে ইয়েনিশেহির ছেড়ে চলে যায়।আয়েশা হাতুন আকতেমুরকে জিজ্ঞেস করে কি ঘটেছে। তখন আকতেমুর সবকিছু খুলে বলে।আয়েশা হাতুন এতে রাগান্বিত হয়।আলচিচেককে নিয়ে দূর্গে যায়।কিন্তু আলচিচেক তার মায়ের সাথে তর্ক করে এবং তাকে হত্যা করতে বলে।সে ছুড়ি নেয় এবং তার গলায় রাখে এবং জানায় সবকিছু তার জন্য হয়েছে।সে আকতেমুরকে ভালোবাসে।তখন বেঙ্গি হাতুন তাকে আঘাত করে।ওক্তেম বে বেঙ্গি হাতুনকে আঘাত করতে গেলে সে তার হাত ধরে ফেলে।তখন ওক্তেম বে আলচিচেক কে উপরে তুলে এবং তাকে শান্তনা দেয়।হুসেইন এসে বায়িন্দার বে'কে জানায়, আলচিচেককে ইয়েনিশেহির থেকে দূর্গে নেওয়া হয়েছে।তখন সে দূর্গে যায় এবং আলচিচেককে চায়।কিন্তু তখন ওক্তেম বে জানায় সে তাকে তার কাছে দিবে না।আলচিচেক কে তার বোন ডাকতে বলে।


কান্তাকুজানোস ইনেগুলে আসে এবং ইসমেহান সুলতান এর সাথে চুক্তি করতে একটি চুক্তিনামা টেবিলে রাখে। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে ইসমেহান সুলতান ওসমান বে'র দূর্গগুলো তাকে হস্তান্তর করতে বলে।তখন ওসমান বে তার তলোয়ার বের করে এবং টেবিলটি ভেঙ্গে ফেলে।তারপর সে তার সিদ্ধান্ত দুদিন পর জানাবে বলে চলে আসে।তারপর ওসমান বে এক মাঠে যায় এবং তার কাজ নিয়ে নিজের সাথে কথা বলে।তারপর সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।শামিল ইয়েনিশেহিরে আসে এবং ইনেগুলে যা ঘটেছে তা বিস্তারিত বলে।মালহুন হাতুন সবাইকে প্রস্তুত হতে বলে।আল্পদের কাজ করতে বলে।ইয়েনিশেহিরের চারপাশে পরিক্ষা খনন করতে বলে।সোগুত থেকে আল্পদের নিয়ে আসতে বলে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলে।বালা হাতুন তার কাজে একটু বিরক্ত হয় এবং পিছু হটার কথা বলে।

Labels: ,

Friday, December 16, 2022

বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ১ বাংলা সাবটাইটেল।

20221216-223405

 বারবারোস হায়রেদ্দিন সিরিজ প্রিভিউঃ- 


শাহবাজ যখন দেখতে পায় গ্যাব্রিয়েল ওরুজকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে,তখন সে পালিয়ে যায়। জাহাজের চিকিৎসক গ্যাব্রিয়েল এর হাত থেকে তীর খুলে ফেলে কিন্তু জানায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। যখন ওরুজ আসে তখন পাশা জানায়,সে শ্রীগ্রই লেভিথা দ্বীপে আক্রমণ করবে এবং ইলিয়াসকে বন্দর ছাড়তে না বলে। হিজির শহরে এসে চিকিৎসকের খোজ করতে থাকে।ইলিয়াস অরুজের অবস্থা জানতে কিন্তু পিরি রেইস তাকে নিষেধ করে।



মারিয়ম ওরুজের বাহু পরিক্ষা করে এবং জানার চেষ্টা করে কি ধরনের বিষ রয়েছে।পিরি একটি মানচিত্র দেখায় এবং মারিয়মকে সেখান থেকে প্রতিষেধক আনতে বলে। হিজির চিকিৎসককে, প্রতিষেধক প্রস্তুতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে।মারিয়ম ইসাবেলের সাথে জঙ্গলে যায় এবং প্রতিষেধক খুঁজতে থাকে।হিজির যখন শাহবাজের সাথে দেখা করে তখন সে ইলিয়াসকে দেখতে পায় এবং অরুজের এই অবস্থার জন্য তাকে দায়ী করে।ইলিয়াস জানায় সে দোষী না বরং সে তার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য এসব করেছে।

বারবারোস হায়রেদ্দিন সিজন ১ ভলিউম ১ বাংলা সাবটাইটেল 


আহত হওয়া সত্ত্বেও, মারিয়াম অরুজের জন্য প্রতিষেধক প্রস্তুত করা শুরু করে। শাহবাজ পাশাকে জানায়, হিজির কি করেছে এবং এর জন্য তাকে দায়ী বানায়। হিজির মারিয়মের প্রস্তুত করা প্রতিষেধক অরুকে প্রয়োগ করে এবং অপেক্ষা করতে থাকে। আন্থুয়ান অরুজের জন্য দুঃখ অনুভব করে কিন্তু দরবেশ তাকে শান্ত করে। অরুজ শীগ্রই সুস্থ হয়ে ওঠে এবং মাল্লাদের অবস্থা জানতে চায়। অরুজ যখন বিছানা থেকে ওঠে,তখন সে বুঝতে পারে তার এক হাত অবশ হয়ে আছে এবং কাজ করতে পারছো না। খিজির জানায়,এটা ভালো হতে কিছু সময় লাগবে।ওরুজ ইলিয়াসকে দূর্গ থেকে বিতাড়িত করে।





আর্চেরন শাহবাজের সাথে পুনরায় কথা বলে এবং বলে সে সকল জাহাজ পুড়িয়ে দিবে। আর্চেরন অল্পসময়ের মধ্যে আক্রমণ করে এবং যোদ্ধাদের হত্যা করে। খিজির এই আক্রমণের কথা জানতে পারে এবং খুব তাড়াতাড়ি ঘাটে যায়।শাহবাজ সরাইখানায় বসে রাজস্ব আদায় করতে থাকে।অরুজ সেখানে আক্রমণ করে এবং বলে সে জানে শাহবাজ একজন বিশ্বাসঘাতক। যখন পাশা শাহবাজের জাহাজে যা ঘটেছে তার জন্য অরুজের সাথে রেগে যায়, তখন হিজির জানায় তিনটি জাহাজ ভালো আছে।


বারবারোসলার সিজন ২ বাংলা সাবটাইটেল 

অরুজ পিয়েরো এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং জানায় সে লেভিথা দ্বীপ ফিরিয়ে নিবে। হিজির গ্রিক আগুন প্রস্তুত করে, লেভিথাতে থাকা বৃহৎ শত্রুকে ধ্বংস করতে। অরুজ জানায় গ্রিক আগুন প্রস্তুত এবং হিজিরকে আক্রমণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বলে। মারিয়ম হিজিরের সাথে যুদ্ধে যেতে চায় এবং তার সাথে জাহাজে ওঠে।পাবলো জানতে পারে অনেকগুলো তুর্কি জাহাজ আসছে।পাশা জানতে পারে অরুজ দূর্গের মধ্যে ধ্বংস চালিয়েছে,তখন সে জানায় এর জন্য অরুজকে অনুশোচনা করতে হবে। অরুজ জানায় দূর্গ তার এবং পাশার সাথে তর্কে জড়ায়।



বারবারোসলার সিজন ২ কবে আসবে?


   গ্যাব্রিয়েল যুদ্ধের ময়দানে যায় এবং জানায় অরুজ কখনোই যুদ্ধে জিততে পারবে না।অরুজ বলে, কেউ গ্যাব্রিয়েলকে বাঁচাতে আসবে না। যখন অরুজ গ্যাব্রিয়েল এর সাথে যুদ্ধে জড়ায় তখন আর্চিয়ানরা হিজিরকে আক্রমণ করে।যখন অরুজ গ্যাব্রিয়েলকে মারতে যাবে,ঠিক তখন দগি সেখানে আসে এবং তাকে থামতে বলে।পরবর্তীতে হামজা আসে এবং অরুজে বলে গ্যাব্রিয়েলকে ছেড়ে দিতে।ওরুজ দগির কাছ থেকে দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয়।  



অরুজ ডন দিয়েগোকে বন্দরে থামায় এবং তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে।ডন দিয়েগো জানায় সে কখনো তুর্কীদের কাছে বন্ধী হবে না।তখন সে আক্রমণ চালায়। বন্দরে একটি বড় যুদ্ধ হয়।পেদ্রো দেখতে পায় সেনারা মারিয়মের সাথে অন্য জায়গায় কথা বলছে।তখন সে তাদেরকে অনুসরণ করতে শুরু করে।অরুজ, হিজিরকে নির্দেশ দেয় মহিলাদেরকে রক্ষা করতে এবং সে বন্দরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে।

বারবারোস হায়রেদ্দিন এর পরিচয় কি?


হিজির জানতে জানতে পারে পেদ্রো মারিয়মকে অপহরণ করেছে, তখন সে তাকে রক্ষা করতে বেরিয়ে পড়ে।ডন দিয়েগো জানায়,ডে জানে কোথায় পেদ্রো মারিয়মের সাথে কথা বলছে এবং সে তার ভাইকে বাঁচাতে বেরিয়ে পড়ে।পেদ্রো মারিয়মকে গুহার মধ্যে নিতে চেষ্টা করে।এসমা জানায় সে ইয়াবেলকে সাহায্য করতে চায় কিন্তু বনিকরা জানায়,তারা তাদের আলজেরিয়ায় নিয়ে গিয়েছে। বন্দরে যুদ্ধ শেষে অরুজ মারিয়মকে খুজতে থাকে।ইসাবেল পেদ্রোকে পর্বতমালার পথে থামায়।



সেলিম জানায়,যতদ্রুত সম্ভব সে অরুজকে আলজেরিয়া থেকে পাঠানে।চিকিৎসক জানায় সে পেদ্রোর ক্ষতের চিকিৎসা করবে এবং তাকে চিন্তা না করে শান্ত হতে বলে।সেলিম ওরুজকে থামায় এবং বন্দীদের তাকে ফিরিয়ে দিতে বলে। ওরুজ সেলিমকে জানায় মহিলারা গুরুতর আহত এবং তাকে বেরিয়ে যেতে বলে।পিরি'র বলার পর,সেলিম বাড়িতে ফিরি যাশ।এসমা এবং হুমা হাতুন দুঃখ পায় মহিলাদের সাহায্য করতে না পাড়ায়।ওরুজ এবং হিজির শেষবারের মতো মহিলাদের সাথে কথা বলতে যায়।হুমা এবং এসমা মহিলাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়।কিছু বনিকরা ডন দিয়েগোকে পুনরায় আক্রমণ করতে চায় কিন্তু পিরি তাদের শান্ত হতে বলে।




দরবেশ জাহাজের সাথে আলজেরিয়ায় আসে এবং জানতে পারে মহিলারা গুরুতর অসুস্থ। মারিয়ম তার চোখ খুলে এবং দরবেশ বাবার সাথে কথা বলে এবং হিজিরকে তার কাছে দেখতে চায়।দরবেশ এবং হিজির কাঁদতে শুরু করে। কেমাল জানায় যতদ্রুত সম্ভব সে অরুজকে সাহায্য করবে।এজন্য সে প্রস্ততি নিতে শুরু করে।সেলিম জানতে পারে মহিলারা মারা গেছে,তখন সে আবারও ওরুজের বাড়িতে যায় বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য। ওরুজ জানায়,মারিয়ম ও ইসাবেলকে কেলেমেজ এ দাপন করবে।ওরু জানায় সে বন্দীদের দিবে না এবং তার সাথে তর্কাতর্কি শুরু করে।


বারবারোস হায়রেদ্দিন ভলিউম ০১ বাংলা সাবটাইটেল। 

Labels: ,

Thursday, December 15, 2022

আল্পআর্সলান সিজন ২ ভলিউম ৩৮

alparslan-episode-38

 পবিত্র পাথর খলিফার ভিজির এর হাতে তুলে দেয়।পবিত্র পাথর পেয়ে ভিজির খুশি হয় এবং সম্মান প্রদর্শন করে।তারপর পাথরটিকে সৈনিকের হাতে তুলে দেয়।আল্পআর্সলান ফিরার সময়,একটি বার্তা দেয় খলিফার ভিজির এবং জানায় এটি ইনাল বে থেকে এসেছে। আল্পআর্সলান চিঠি খুলে এবং পড়ে জানতে পারে সুলতান তুগরুল ইনাল বে'কে ভাসপুরাকান দিয়েছে। এতে আল্পআর্সলান ক্ষুব্ধ হয় এবং মনে করে এটা ইনাল বের কোনো পরিকল্পনা করে।আল্পআর্সলান ভাসপুরাকান এর পথে রওনা দেয়।


আমির বাসাসিরির মিশরের খলিফার প্রতিনিধির কাছে যায় এবং পাথরের কথা বলে।সে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এবং বাসাসিরিকে শাসাতে থাকে।বাসাসিরি তখন শপথ করে,সে আল্পআর্সলান কে এমন শাস্তি দিবে যাতে আল্পআর্সলান তার পায়ের কাছে এসে ভিক্ষা চাইবে।আমির বাসাসিরি তখন সেলজুক ভূমিতে প্রবেশ করে।সে আনিতে যায় এবং টেকফুর গ্রেগর এর সাথে কথা বলে।টেকফুর গ্রেগর তার সাথে থাকার শপথ করে।টেকফুর গ্রেগর ও বাসাসিরির নতুন পরিকল্পনা করে আল্পআর্সলান কে শাস্তি দিতে।

আল্পআর্সলান নতুন পর্ব সিজন ২

ইনাল বে সদর দপ্তরে যায় এবং সেখান থেকে আর্সলান ইউসুফকে চলে যেতে বলে।কিন্তু আর্সলান ইউসুফ চলে যেতে না চাইলে,সৈন্যদের তাঁকে নিয়ে যেতে বলে।তখন সদর দপ্তরের কমান্ডার সৈন্যদের নির্দেশ দিলে আর্সলান ইউসুফ কে সদর দপ্তর থেকে বের করে দেয় এবং সদর দপ্তর নিজের দখলে নেয় ইনাল বে।আর্সলান ইউসুফ ভাসপুরাকানে যায় এবং ইনাল বে'র কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়।তখন ভাসপুরাকানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।


অনুবাদ মিডিয়া আল্পআর্সলান ভলিউম ৩৮

টেকফুর এর মেয়ে ফ্লোরা, সুলেমান বে'কে দেখার জন্য ভাসপুরাকানে রওনা দেয়।এমন সময় তার পরিচিকা আসে এবং জানতে পারে ফ্লোরা কি করতে যাচ্ছে। তখন সে টেকফুরকে জানাতে চায় কিন্তু সে তাকে বোঝায় এবং সম্মতি পায়।ফ্লোরা ভাসপুরাকানে আসে।ইনাল বে জানতে পারো আল্পআর্সলান ভাসপুরাকানে এসেছে।তখন ইনাল বে, সদর দপ্তরের কমান্ডারকে নিয়ে ভাসপুরাকানে আসে।আল্পআর্সলান জানতে পারে ভাসপুরাকানে এসেছে। আল্পআর্সলান ভাসপুরাকান এর দরজায় যায়।ইনাল বে ভাসপুরাকানে আসে এবং জানায় সুলতান আদেশ দিয়েছে ভাসপুরাকান তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আল্পআর্সলান তার কথায় বিশ্বাস করে না।তখন আল্পআর্সলান এবং ইনাল বে'র মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।ইনাল বে আল্পআর্সলান এর উপর রেগে যায়।


আল্পআর্সলান জানায়, সে ভাসপুরাকান দিবে না।সে সুলতান এর লিখিত আদেশ দেখতে চায়।তখন আল্পআর্সলান ভাসপুরাকান এর দরজা বন্ধ করে দেয়।ইনাল বে বাহির থেকে আল্পআর্সলান কে ডাকতে থাকে কিন্তু আল্পআর্সলান তার কথায় কর্নপাত করে না।ইনাল বে ভাসপুরাকান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।তখন সে তার বাহিনী নিয়ে ভাসপুরাকান অবরোধ করে।টেকফুর গ্রেগর জানতে পারে ইনাল বে ভাসপুরাকান অবরোধ করেছে।তখন সে ইনাল বে'কে সহযোগীতা করার জন্য তার কমান্ডার দিয়ে মানতি পাঠায়।তার কমান্ডার মানতিক নিয়ে সেলজুক ভূমিতে প্রবেশ করে।সেলজুক লোকেরা তাদের আটক করে এবং ইনাল বে'কে জানায়।ইনাল বে সেখানে আসে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানে।

আল্পআর্সলান ভলিউম ৩৮ বাংলা সাবটাইটেল 

তখন সে জানতে পারে টেকফুর গ্রেগর তার জন্য সহযোগিতা পাঠিয়ে। তখন ভাসপুরাকানের দেয়ালে আঘাত হানার জন্য সে মানজিকগুলো নিয়ে আসে।ইনাল বে ভয় দেখাতে চায় কিন্তু কাউকে আঘাত হাতে চায় না।গ্রেগর এর কমান্ডার ফেরার সময় এক সেলজুক সৈন্যকে স্বর্ন দেয় এবং জানায় তার কথা মত কাজ করলে আরো স্বর্ন পাবে।তখন সে লোভে পড়ে তার কাজ করতে চায়।ইনাল বে মানজিকগুলো রেখে ভাসপুরাকান এ যায় এবং আল্পআর্সলান এর সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু আল্পআর্সলান তার কথা থেকে সড়ে আসেনি। ইনাল বে যখন মানজিকগুলো রেখে আসে,তখন এক সৈন্য মানজিকগুলোকে আগের অবস্থান থেকে সড়িয়ে রাখে,যাতে গোলা ভাসপুরাকান এর ভিতরে পড়ে।


তারপর ইনাল বে,হায়দার সহ মানজিক এর কাছে যায় এবং মানজিক এ গোলা রেখে নিক্ষেপ করে।ফ্লোরা ভাসপুরাকান এ গিয়ে সুলেমানকে খুজতে থাকে।এক সময় সে সুলেমানকে দেখতে পায়।তার কাছে যেতে গেলে আর্সলান ইউসুপকে দেখতে পায়।তখন সে সড়ে যায়।সার্দার আল্প সেফেরিয়ে হাতুন এর বোনের সাথে কথা বলে।ফ্লোরা সার্দার আল্পকে দেখতে পায়।সে সার্দার আল্প এর কাজে সুলেমান বে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে।সার্দার আল্প জানায়,সে তাকে চিনে।তখন ফ্লোরা তাকে একটি কাগজের নৌকা দেয় এবং সুলেমান বে'কে দিতে বলে।সুলেমান বে,আল্পআর্সলান এর সাথে সভায় কথা বলে।সার্দার আল্প সেখানে যায় এবং সুলেমান বে'কে কাগজের নৌকা দেয়।সুলেমান বে তখন তাকে নিয়ে বের হয়।

আল্পআর্সলান সিজন ২ ভলিউম ৩৮ বাংলা সাবটাইটেল 

সুলেমান বে,বাহিরে আসে এবং ফ্লোরাকে খুঁজে। সে ফ্লোরাকে খুঁজে পায়। আল্পআর্সলান ওখে হাতুনকে আটক করে রাখে।বাহিরে লোকজন ছিলো।ইনাল বে গোলা নিক্ষেপ করলে ভাসপুরাকান এর মাঝে পড়ে এবং বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়।অনেকে মারা যায়।অনেকে মারাত্মক আঘাত পায়।ইনাল বে কালে ধোঁয়া দেখতে পায় এবং চিহ্নিত হয়ে পড়ে।সে হায়দার এর উপর ক্ষিপ্ত হয়। তাকে হত্যা করতে চায়।তখন মানজিকের দায়িত্বে থাকে সৈন্যদের মৃত্যুদন্ড দেয়।আহতদের চিকিৎসা করা হয়।ইনাল বে,মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের মাথা নিয়ে ভাসপুরাকান এ পাঠায় এবং জানায় সে এটা চায়নি।আল্পআর্সলান তাদের উপর রেগে যায় এবং ইনাল বে'র কাছে তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়।



আল্পআর্সলান এক সৈন্যর মাধ্যমে তা বাবার কাছে বার্তা পাঠায়।যখন সৈন্য বার্তা নিয়ে যাচ্ছিলো,তখন বাসাসির তাকে থামায় এবং তাকে হত্যা করে।তারপর তার লোক সৈন্যর পোশাক পড়ে ছদ্মবেশে সেখানে যায় এবং চাগরী বে'কে খবর জানায়।চাগরী বে রেগে যায় এবং সে ঘোড়া নিয়ে ভাসপুরাকান এর পথে রওনা দেয়।পথো আমির বাসাসিরি তার লোকদের নিয়ে ফাঁদ পাতে যখন চাগরী বে সেখানে যায়, তখন বাসাসিরি তার পথ বন্ধ করে দেয়।তারপর তাদের আক্রমণ করে।সেখানে লড়াই হয়।চাগরী বের পেটে তলোয়ার চালায়।তারপর সে তার লোককে দিয়ে আল্পআর্সলান এর কাছে বার্তা পাঠায়। 

আল্পআর্সলান বুয়ুক সেলজুকলু বাংলা সাবটাইটেল সিজন ২

আল্পআর্সলান সুলতান তুগরুল এর সাথে দেখা করতে চায়। এজন্য সে গোপন পথে ভাসপুরাকান ছাড়ে।তখন বাসাসিরির লোক তার সামনে পড়ে এবং আল্পআর্সলানকে জানায় চাগরী বের উপর হামলা হয়েছে।তখন সে চাগরী বে'র কাছে যায়। তখন  বাসাসিরিকে দেখতে পায়।বাসাসিরির লোকেদের সাথে লড়াই হয়।বাসাসিরির চলে যায়,আল্পআর্সলান তার পিছু নেয়।আল্পআর্সলান কে ঘিরে ফেলে। সুলতান তুগরুল জানতে পারে, ইনাল বে ভাসপুরাকান অবরোধ করেছে।তখন সে ভাসপুরাকান এর উদ্দেশ্য রওনা দেয় এবং ভাসপুরাকান আসে।ইনাল বে'র সাথে দেখা হয়।ইনাল বে,সুলতান তুগরুল এর সাথে ভাসপুরাকান এ প্রবেশ করে।

আল্পআর্সলান ভলিউম ৩৮ বাংলা সাবটাইটেল 

Labels: ,

Wednesday, December 14, 2022

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮

20221214-024637

 সদর দপ্তরে হামলার খবর শুনে ওসমান বে দাড়িয়ে যায় এবং ইসমেহান সুলতান এর সভা থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।ইসমেহান সুলতান তখন ওসমান বে'র উপর রেগে যায় এবং জানতে চায় কার অনুমতি নিয়ে সে সদর দপ্তর তৈরী করেছে।উসমান বে তখন জানায়,সে শুধু আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নেয়।তখন ইসমেহান সুলতান বলে,এই কাজের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।তখন উসমান বে জানায়,যখন ইচ্ছা, সেখানে ইচ্ছা সে জবাবদিহি করবে। ইসমেহান সুলতান তখন আভজি কে জানায়,সৈন্যদের নিয়ে সদর দপ্তরে যেতে এবং যারা হামলার স্বীকার হয়েছে তাদের সাহায্য করতে।ওসমান বে তখন তাকে নিষেধ করে এবং জানায় কারও সাহায্য তার লাগবে না।

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ বাংলা সাবটাইটেল 

ওসমান বে সভা থেকে বেরিয়ে আসে।বাকি বে'দের বিদায় জানাশ ইসমেহান সুলতান।বাকিরা চলে যাওয়ার সময় তুর্গুত বে চলে যেতে চাইলে,ইসমেহান সুলতান তাকে থাকতে বলে।তখন ইসমেহান সুলতান তার সাথে কথা বলে এবং সে কার পক্ষে থাকবে তা জানতে চায়।ওসমান বে সদর দপ্তরে যায় এবং আল্পদের মৃতদেহ দেখতে পায়।তখন সে শোকে কাতর হয়ে যায়।বালা হাতুনকে দেখতে পায়।তাকে জড়িয়ে ধরে।বাকি আল্পদের স্বান্তনা দেয়।তখন ওসমান বে কনুরকে আঘাত করে এবং এর জন্য তাকে দায়ী করে।তারপর তাকে সদর দপ্তর থেকে তাড়িয়ে দেয়।কনুর আল্প সদর দপ্তর থেকে চলে যায়।


ওসমান বে ইনেগুল দূর্গে যায় এবং সদর দপ্তরের ঘটনার জন্য তাকে দায়ী করে।তুর্গুত বে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কিন্তু ওসমান বে জানায় সদর দপ্তরের খবর কেবলমাত্র সে জানত।আর সেই এ ঘটনা প্রকাশ করেছে।এ ঘটনার জন্য তুর্গুত বে'কে ইনেগুল ছেড়ে দিতে বলে।তখন তুর্গত বে জানায়,প্রয়োজনে সে জীবন দিতে পারে কিন্তু মাতৃভূমি দিবে না।তখন ওসমান বে জানায়,প্রয়োজনে জীবন ও দূর্গ দুটোই নিবে।ইয়েনিশেহিরে সুবাসি কে পাওয়া যায় না। আয়েশা হাতুন তাকে খুজতে থাকে কিন্তু ইয়েনিশেহিরের কোথায় তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।তখন সে আলচিচেককে দেখতে পায় ইয়েনিশেহিরে। তখন আয়েশা হাতুন চিন্তিত হয়ে পড়ে।

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮

আয়েশা হাতুন কয়েকজন আল্প নিয়ে যায় এবং যেখানে আলচিচেক এর সাথে সুবাসীর দেখা করার কথা ছিলো সেখানে যায়।তারপর সেখানে খুঁজতে থাকে। সেখানে একজোড়া কানের দুল পায়।তারপর আরো খোঁজ চালালে আকতেমুর ঘোড়া পাওয়া যায় কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না।তখন সে ইয়েনিশেহিরে ফিরি আসে।বায়িন্দার সুবাসীকে ওলোফ এর আস্তানায় নিয়ে যায়, তারপর তাকে গাছের সাথে বেধে বেতাঘাত করে কিন্তু আকতেমুর তার মুখ দেখতে চাইলে সে দেখায় না।তারপর আকতেমুরকে ওলোফের লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়।তারপর সে ইয়েনিশেহিরে চলে আসে।


ওসমান বে, বে'দের সভায় ডাকে।বে'রা সবাই ইয়েনিশেহিরে আসে।তখন তারা সভাকক্ষে যেতে চায় কিন্তু ওসমান বে উপস্থিত বা হওয়ায় তাদেরকে সভাকক্ষে যেতে নিষেধ করে।তারপর ওসমান বে আসে এবং বে'দের সাথে কথা বলে এবং জানায় যারা সবসময় তারসাথে থাকবে,কেবল তারাই সভায় আসতে পারবে।বাকিদের এক্ষুনি সড়ে দাঁড়াতে হবে।তারপর ওসমান বে তার কক্ষে যায়।ওসনান বের সাথে কয়েকজন বে'রা কক্ষে যায়।দুজন বে প্রথমে না গেলে,তাদের কাছ থেকে তলোয়ার রেখে দেয়। তারপর তাদেরকে ইয়েনিশেহির থেকে বের করে দেয়।


কুরুলুস উসমান বাংলা সাবটাইটেল সিজন ৪

ওসমান বে সভা শুরু করে এবং জানায় সে থেকে যাবে না।সে আবারও সদরদপ্তর প্রস্তুত করবে এবং কুপ্রিহিসার জয় করবে।এজন্য সে সকল বে'দের প্রস্তুতি নিতে বলে। শাহিন বে,ইসমেহান সুলতান এর কথা তুললে ওসমান বে রেগে যায়। তারপর সভা শেষ হয়।তখন আয়েশা হাতুননও মালহুন হাতুন ওসমান বে'র কক্ষে যায় এবং আকতেমুর এর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানায়।ওসমান বে তখন, তার কয়েকজন আল্পকে খোঁজার জন্য পাঠায়।তার পুত্র আলাউদ্দিন ও ওরহানকে কারাজাহিসার এ পাঠায়।ওসমান বে নতুন সদর দপ্তরে যায় এবং প্রস্তুতি শুরু করে।ইসমেহান সুলতান ওলোফকে সোগুতে আমন্ত্রণ জানায়।ওলোফ গোপনে সোগুতে যায়।বায়িন্দার তাকে সাহায্য করে।

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮ 

ওলোফ ইসমেহান সুলতান এর সাথে দরকষাকষি করে।তুর্গুত বে ইসমেহান সুলতান এর সাথে দেখা করতে আসে।সে এসে জানায়,ওসমান ইনেগুল নিতে চায়।তখন ইসমেহান জানায়,ইনেগুল কেউ নিতে পারবে না।তখন তুর্গুত বে, ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য স্বীকার করে। কনুর আল্প ইসমেহান সুলতান এর কাছে যায়। আভজি ইসমেহান সুলতান এর কাছে কনুর এর কথা জানায়।কনুর জানায় সে ওসমানের আল্প নয়,সে সাবেক সেলজুক কমান্ডার। সে তার দোষ স্বীকার করে এবং তাকে শাস্তি দিতে বলে।তখন ইসমেহান জানায়,তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।তখন কনুর তাতে সম্মতি জানায়।তারপর কনুরের গলায় ছুড়ি ধরে ইসমেহান। 


অনুবাদ মিডিয়া কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৮

কনুর ইসমেহান সুলতান এর কাছ থেকে দায়িত্ব পেতে চায়।তখন ইসমেহান সুলতান জানায়, তার দায়িত্ব পাওয়ার আগে তাকে পরীক্ষা করা হবে।কয়েকজন সেলজুক সৈন্যকে ডেকে আনে এবং কনুর সাথে লড়াই করতে দেয়।কনুর সবাইকে পরাজিত করে।তখন ইসমেহান খুশি হয় এবং তাকে ডার সহকারী নিয়োগ দেয়।তারপর কনুর চলে যায়।উল্লেখ্য,ওসমান বে কনুরকে আঘাত করার সময় একটি বার্তা তার কাছে দেয়।কনুর সে বার্তা পড়ে এবং ইসমেহান সুলতান এর কাছে আসে। আভজি জিজ্ঞেস করে,তাকে বিশ্বাস করা সঠিক হবে কিনা।জেরকুতায় আকতেমুর এর স্থানে যায় এবং চিহ্ন খুঁজে পায়।তারপর সে ওসমান বে'র কাছে চলে যায় এবং জানায়। ওসমান বে তখন আকতেমুরকে উদ্ধার করার জন্য রওনা দেয়।


কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮ বাংলা সাবটাইটেল 

Labels: , ,

Tuesday, December 6, 2022

কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৭ বাংলা সাবটাইটেল

20221206-160212

 একদিন পরের ঘটনা,উসমান বে ইসমেহান সুলতানকে বশে আনতে চায়।সেজন্য সে তার পরিবারের সাথে কথা বলতে থাকে।তারা এক এক জনে একেক মতামত দেয়।উসমান বে ইসমেহান সুলতান এর আনুগত্য প্রকাশ করতে চায়।সেজন্য সে মালহুন হাতুনকে উপহারসামগ্রী সহ ইসমেহান সুলতান এর নিকটে পাঠাতে চায়।উসমান তার এক আল্পকে ইসমেহান সুলতান এর পিছনে পাঠায়।তারপর উসমান বে সদর ঘাটতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।বালা হাতুন উসমান বে'র সাথে রওনা হয় সদর কুপ্রিহিসার এর নিকটে ঘাটিতে যাওয়ার জন্য। 


কনুর আল্প ইনেগুল এ যায় এবং গুলতিগুলো চায়।কিন্তু তুর্গুত বে এগুলো আনতে অনুমতি দেয় না।তুর্গুত ও কনুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।পরে কনুর ফিরে আসে।কনুর সদর দপ্তরে অন্যন্য আল্পদের সাথে কথা বলে এবং আশা করে তুর্গুত বে তাদের সাথে যোগ দিবে।এদিকে উসমান বে তখন সদর দপ্তরে আসে।কনুর আল্প জানায় তুর্গুত বে গুলতিগুলো তাকে দেয়নি।তখন উসমান বে রেগে যায় এবং জানায় সন্ধ্যার আগে গুলতি গুলো না নিয়ে আসলে তুর্গত বে'র মাথা নিবে।তারপর তারা সেখানে প্রশিক্ষণ নেয়।কিছুক্ষণ পর তুর্গুত বে গুলতিগুলো নিয়ে আসে।তারপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাদের আলাদা পথ বেছে নেয়।


ইসমেহান সুলতান কান্তাকুজানোস এর সাথে দেখা করে এবং তার সাথে চুক্তি করে উসমান কে হত্যা করার জন্য। তখন কান্তাকুজানোস জানায় উসমান বে'র পরিকল্পনার কথা জানতে পারলেই তাকে থামানো যাবে।তখন ইসমেহান সুলতান জানায় সে নতুন বিজয়ের পথে হাটছে। কিন্তু সে কোন দূর্গ বিজয়ের পথে হাটছে তা জানে না, তখন সে কুপ্রিহিসার সহ আরো কয়েকটি দূ্গের কথা বলে। ইসমান সুলতান জানায়,তারা তাকে বাইজেন্টাইন সিংহাসনে বসার জন্য সাহায্য করবে কিন্তু তখন কান্তাকুজানোস জানায় সম্রাট অসুস্থ হওয়ার,তার স্থলে তাকে দেখা যায় এজন্য ইসমেহান সুলতান এর সাহায্যর প্রযোজন নেই।


যখন ইসমান সুলতান কান্তাকুজানোস এর সাথে কথা বলছিলো,তখন উসমান বে'র আল্প তা দেখে ফেলে।কিন্তু সেলজুক সৈন্যরা তাকে দেখে ফেলে এবং আটক করে।তার ইসমেহান সুলতান উসমান নে'র আল্পকে হত্যা করে। তারপর ইসমেহান সুলতান তুর্গুত বে'র অধীনস্ত ইনেগুলে যায়।তখন তুর্গুত বে জানায়, সে কোনো বিভ্রান্তিতে জড়াবে না।কিন্তু ইসমেহান সুলতান তখন তাকে নানাভাবে প্ররোচিত করতে থাকে। তারপর সে চলে আসে।তুর্গুত মনে মনে উসমান বে'র প্রতি ঘৃন্য মনোভাব পোষণ করে তারপর সে নিজেকে এককভাবে তুলতে চায়।সে কারো ছায়ায় থাকতে চায় না।ইসমেহান তাকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য প্রশ্রুতি দেয়,তার সাথে কাজ করলে।


বায়িন্দার বে উলোফ এর কাছে যায়।উলোফ তাকে জিজ্ঞেস করে কেনো সে এসেছে। তখন সে জানায় উসমান নতুন বিজয়ের পথে হাটছে। ইসমেহান সুলতান তাকে থামানোর নির্দেশ দিয়েছে। উলোফ তখন জিজ্ঞেস করে তার বিনিময়ে তাকে সে কি দিবে।তারপর সে সেলজুক দের থেকে ভূমি দাবি করে, যেখানে সে একা থাকবে তার ভাইদের নিয়ে।সেখানে অন্য কারো অধীনে থাকবে না।তারপর সে সেলজুক সুলতান এর কাছ থেকে সিলমোহর সহ একটি দূর্গের মালিকানা চায়।তারপর বায়িন্দার জানায় একজন্য সে সুলতানার কাছে দাবি করবে কারন এতে তার এখতিয়ার নেই।তখন ওলোফ জানায় সে যদি পরবর্তীতে খালিহাতে ফিরে আসে তাহলে তাকে হত্যা করবে।তারপর বায়িন্দার চলে আসে।


ইসমেহান সুলতান সোগুতে তার দপ্তরখানায় বসে।তারপর সে ইয়েনিশেহিরের ব্যবসায়ী মার্তাকে ডাকে।মার্তা তখন সেখানেও  যায়।ইসমেহান সুলতান তখন তার আসল নাম ধরে ডাকে।তখন সে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে তারপর বলে নিশ্চয়ই তার নিজের লোকরা হয়তো তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ইসমেহান মার্তার সাথে কথা বলে।মালহুন হাতুন তখন সেখানে উপস্থিত হয়।মালহুন হাতুন সেখানে মার্তাকে দেখতে পায় এবং সে অবাক হয়।তারপর মার্তা সেখান থেকে চলে গেলে মালহুন হাতুন ইসমেহান সুলতান এর সাথে কথা বলে, তারপর সে তার প্রতি আনুগত্যর কথা জানায় এবং উপহার সামগ্রী নিতে বলে।



বায়িন্দার ইয়েনিশেহিরে আসে এবং দেখতে পায় আলচিচেক এর সাথে আকতেমুর কথা বলতেছে।তখন বায়িন্দার রেগে যায় এবং তারাতাড়ি তার কাজ সম্পন্ন করতে চায়।তখন সে বেঙ্গি হাতুনের কাছে যায় এবং আলচিচেক কে সে বিয়ের কথা জানায়।বেম্গি হাতুন প্রথমে অবাক হয় এবং জানায় এজন্য সে ওক্তেম বের রাজি হতে হবে।তখন বায়িন্দার জানায়, ওক্তেম বে'কে রাজি করাতে পারবে বেঙ্গি হাতুন।আলচিচেক এসব দেখতে পায়।আলচিচেক তখন আকতেমুর এর সাথে কথা বলে।আকতেমুর তখন ঘাটিতে উসমান বে'র কাছে যায়।উসমান বে তাদেরকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়।আকতেমুর তখন সবকিছু খুলে বলে।উসমান বে তখন তৎক্ষনাৎ ওক্তেম বে কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।



বায়িন্দার আকতেমুর এর পিছু নেয় এবং উসমান বে'র ঘাটি সম্পর্কে জানতে পারে।তখন সে তার সহকারী হুসাইনকে ওলোফ এর কাছে পাঠায় এবং উসমান বে'র ঘাটি সম্পর্কে জানাতে বলে।তারপর সে সুলতানার কাছে জানায়।এবং জানায় উসমান তার ভাতিজা আকতেমুর এর জন্য আলচিচেক এর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে তার সবকিছু খুলে বলে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলে।তখন ইসমেহান সুলতান ওক্তেম বে'র কাছে যায়।বেঙ্গি হাতুন উসমান বে'র কাছে আলচিচেক কে দিতে না বলে কিন্তু ওক্তেম বে জানায় সে আলচিচেকজে উসমান বে'র ভাতিজার জন্য দিবে।এ নিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় কিছুক্ষণ। 


তখন ইসমেহান সুলতান সেখানে চায় এবং বায়িন্দার বে'র জন্য আলচিচেককে চায়।ওক্তেম বে তখন কিছু বলে না।তারপর কিছুক্ষণ পর উসমান বে ও তার পরিবার নিয়ে ওক্তেম বে'র কাছে যায়। তখন ওসমান বে দেখতে পায় সেখানে ইসমেহান সুলতান।তখন উসমান বে আকতেমুর এর জন্য আলচিচেক কে চায়।এদিকে ইসমেহান সুলতান বায়িন্দার বে'র জন্য আলচিচেক কে চায়। তখন বায়িন্দার বে দ্বিধায় পরে যায় এবং জানায় ইসমেহান সুলতান এর কথায় সে একমত।তখন সমান বে সেখান থেকে চলে আসে। ওলোফ খবর পেয়ে সদর দপ্তরে যায় এবং সেখানে সে হামলা চালায়। 

কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০৭ বাংলা সাবটাইটেল 

<

Labels: , ,

Friday, December 2, 2022

উসমানী সাম্রাজ্যের উত্থানঃ সিজন ১,এপিসোড ৪-৬ বাংলা সাবটাইটেল

rise-of-attoman-s1

  সুলতান সম্রাটের কাছে দূত পাঠান যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তির জন্য। শহরের অধিবাসীদের সুলতান আত্মসমর্পণের বিনিময়ে অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে নিরাপত্তা ও সম্পত্তি লাভের কথা শোনান। শহরবাসীরা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর এপ্রিল মাসের ছয় তারিখে শুরু হয় বোমাবর্ষণ। এক সপ্তাহ পর এর প্রচণ্ডতা বেড়ে যায়, চলে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত শহরের দেয়াল ফুটো করার ক্ষেত্রে সুলতান মানব শক্তির চেয়েও গোলন্দাজের ওপর নির্ভর করেছেন বেশি। কিন্তু তারপরেও তাঁর সৈন্যরা কোনো দ্রুত সাফল্য দেখাতে পারেনি। বিশাল বিশাল গোলার আঘাতে দেয়ালের কোনো কোনো অংশ সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো কার্যকর ফাটল তৈরি করতে পারেনি। বরঞ্চ গ্রিক সৈন্যরা দ্রুতই তা মেরামত করে নেয়।

সুলতান মেহমেদ ও সম্রাটের মধ্যে চিঠি বিনিময় 

সমুদ্র আক্রমণের ক্ষেত্রেও সুলতানের সৈন্যরা প্রত্যাশিত সাফল্য লাভে ব্যর্থ হয়। গোল্ডেন হর্নের ওপর আগের মতোই গ্রিকদের আধিপত্য বজায় থাকে। এর ওপরে আবার এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে অস্ত্র ও রসদবোঝাই তিনটি জেনোইস বিশাল জাহাজ দার্দেনালিসের ভেতর দিয়ে চালিয়ে শহরের কাছে পৌঁছে যায়। সুলতান তাঁর অ্যাডমিরাল এ জাহাজগুলো ডুবিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসে না। খ্রিস্টান জাহাজগুলো তুর্কিদের হারিয়ে নিরাপদে গোল্ডেন হর্নের আশ্রয়ে পৌঁছে যায়।


সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ বুঝতে পেরেছিলেন শুধু স্থলপথে আক্রমণ করলেই কনস্টান্টিনোপলের পতন ঘটানো যাবে না। কিন্তু এখন তাঁর সমুদ্রপথের আক্রমণও ব্যর্থ হয়। এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার জন্য সম্ভবত তাঁরই কোনো ইটালিয়ান সৈন্য সুলতানের মাথায় অভিনব এক পরিকল্পনা ঢুকিয়ে দেয়। জমির ওপর দিয়ে বসফরাস থেকে গোল্ডেন হর্ন পর্যন্ত জাহাজগুলোকে টেনে নেয়া। সুলতানের প্রকৌশলীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুইশ ফুট উচ্চতায় উপত্যকায় ওপর থেকে শুরু করে ঢালু বেয়ে পোতাশ্রয় পর্যন্ত আরেকটি উপত্যকা পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে। তেল মাখানো কাঠের গুঁড়ি ফেলে ষাঁড়ের সাহায্যে জাহাজগুলোকে টেনে নেয়া হয় ।


এভাবে পাল উঠিয়ে পতাকা টাঙিয়ে বিস্মিত খ্রিস্টান সৈন্য ও পাহারাদারদের চোখের সামনে পাহাড় বেয়ে তাদের পোত্রাশ্রয়ের ওপর নেমে আসে জাহাজের শহর। এভাবে গ্রিক ও প্রতিরক্ষা ব্যুহর মাঝে গোল্ডেন হর্নের ভেতরে সত্তরটি তুর্কি জাহাজ ভাসাতে শুরু করে। জোনাই এবং ভেনেশীয়রা হালকা জলযান দিয়ে আঘাত করতে চেষ্টা করলেও তুর্কিরা আক্রমণ প্রতিহত করে। গ্রিকরা গোল্ডেন হর্নের নিয়ন্ত্রণ হারায়। তুর্কিরা পোতাশ্রয়জুড়ে নৌকা দিয়ে ভাসমান সেতু বানিয়ে নিজেদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে। এভাবে প্রোতাশ্রয় এবং স্কুল উভয় দিকের দেয়ালের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।


কন্সনান্টিনোপোল দেয়ালে সুলতানের সফল আঘাত

এরই মাঝে দেয়ালের পাশে সুলতানের আক্রমণ তিনবার সফল হয়। প্রথমে ছিল অস্থায়ী সৈন্যদল, প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত যুদ্ধ করে তারা প্রাথমিকভাবে শত্রুকে ভয় পাইয়ে দেয়।


এরপর আসে সশস্ত্র এবং সুদক্ষ আনাতোলিয়ার সেনাবাহিনী। গির্জার সংকেত আবারো বেজে উঠার পরপরই এর শব্দ ঢেকে যায় দেয়ালের ওপর সৈন্যদের ঝনঝন শব্দে। আনাতোলিয়ার সৈন্যরা যদিও পাথর বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছিল, কিন্তু আরবানের তৈরি করা বিশাল কামানের গোলা সরাসরি দেয়ালে আঘাত হানে। সৈন্যরা হইহই করে সেই ফাঁক গলে ঢুকে যায়। কিন্তু সম্রাট স্বয়ং গ্রিকদের নিয়ে এদের প্রতিহত করেন। বেশির ভাগ সৈন্যকে কচুকাটা করে বাকিদেরকে পরিখার কাছে ফিরতে বাধ্য করেন। সুলতান একই সাথে সৈন্যদের প্রশংসা এবং ভর্ৎসনা দুটোই করেন। এরপর সময় আসে যুদ্ধে জানিসারিসদেরকে ব্যবহার করার। যুদ্ধের প্রধান আক্রমণের জন্য এদেরকে সংরক্ষিত রেখে ছিলেন সুলতান। জানিসারিসরা সময় আসতেই সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে যায় রণসংগীত গাইতে গাইতে। মাহমুদ চিৎকার করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে থাকেন। কিন্তু হাতাহাতি যুদ্ধের এক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তারা তেমন আগাতে পারেনি। অন্যদিকে খ্রিস্টানরা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে একই উদ্যম নিয়ে লড়াই করে চলেছে।


কিন্তু তারপরই দুর্ভাগ্য তাদের থামিয়ে দেয়। প্রথমত বলা যায় পেছন দিকের খিড়কীর দরজার কথা। দেয়ালের উত্তর দিকের এই দরজা দিয়ে এক দল তুর্কি সেনা প্রবেশ করে টাওয়ারে চড়ে বসে। গ্রিকরা হয়তো এটাকে থামাতে পারত যদি না দ্বিতীয় দুর্ভাগ্য তাদের না থামিয়ে দিত। তাদের সেনাপ্রধান জিউসটিয়ানীর বুকের বর্ম ভেদ করে খুব কাছ থেকে ছোড়া গুলি ঢুকে গেলে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় সাহস হারিয়ে পার্থনা করেন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে চলে যাওয়ার। কিন্তু এ কথায় কান না দিয়ে সম্রাট অনুরোধ করেন তাঁকে ছেড়ে না যেতে। ভেতরের দরজা খুলে জিউসটিয়ানীকে গোল্ডেন হর্নে অবস্থিত জেনোইস জাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ অবস্থায় তার জেনোইস সৈন্যরা যুদ্ধে পরাজয় ঘটেছে ভেবে সেনাপতির সাথে চলে যায় ।


এর ফলে সৈন্যদের মনোভাব ভেঙে যায়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুব দ্রুত এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সুলতান চিৎকার করে উঠেন, "শহর আমাদের” এবং জানিসারিসদের সর্বশেষ আক্রমণের নির্দেশ দেন। আনাতোলিয়ার দৈত্যাকৃতি সৈন্য হাসান নেতৃত্ব দিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও জানিসারিসরা শীঘ্রই গ্রিকদের কচুকাটা করে ফেলে এরপর অনেক জানিসারিস কোনো বাধা ছাড়াই ভেতরের দেয়ালের ওপর চড়ে বসে। একই খিড়কীর দরজাতেও তুর্কি পতাকা উত্তোলন করে তুর্কিদের বিজয় ঘোষিত হয়।






এরই মাঝে সম্রাট খিড়কীর দরজার কাছে যেতে চাইলেও গুজবে শুনতে পান তুর্কিরা পৌঁছে গেছে; কিছুমাত্র জেনোইস আছে প্রতিহত করার জন্য। সম্রাট ঘুরে প্রধান দরজার কাছে যেতে চাইলে দেখতে পান, ইতিমধ্যেই তা তুর্কিদের দখলে চলে গেছে। শহর কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং আমি এখনো বেঁচে আছি, ভেবে সম্রাট ঘোড়া থেকে নেমে রাজকীয় চিহ্ন খুলে ফেলে ছুটে আসা জানিসারিসদের মাথা লক্ষ করে দৌড় দেন। এরপর জীবিত অথবা মৃত আর কখনোই দেখা যায়নি তাঁকে।


সুশৃঙ্খলভাবে দরজা দিয়ে শহরে প্রবেশ করেই বিজয়ী সৈন্যদল বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। শহরজুড়ে নরহত্যা শুরু করে। গির্জা, আশ্রম, প্রাসাদ বাড়িঘর সবকিছু তছনছ করে ফেলতে শুরু করে। গ্রিকরা হাজারে হাজারে দৌড়ে যায় তাদের প্রধান গির্জার দিকে।


ইতিহাসবিদ মাইকেল দুকাস এ সম্পর্কে লিখে গেছেন, বিশাল গির্জা চত্বরে প্রবেশ করেই গ্রিকরা প্রধান দরজা বন্ধ করে দেয়। অপেক্ষা করতে থাকে কোনো স্বর্গদূত এসে তাদের রক্ষা করবে। দিনের প্রথম ঘণ্টাও পার হয়নি। শহর লণ্ডভণ্ড করে তুর্কিরা এসে গির্জায় দরজার কুঠারাঘাত করতে থাকে।

সুলতান বিজয়ীর বেশে শহরে প্রবেশ করে


সুলতান বিজয়ীর বেশে শহরে প্রবেশ করে দিনের শেষ ভাগে । জানিসারিস ও মন্ত্রিপরিষদ পরিবৃত্ত হয়ে শহরের রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে গিয়ে সোজা থামেন প্রধান গির্জার সামনে। ঘোড়া থেকে নেমে এক মুঠো মাটি নিয়ে নিজের মাথায় মাখান। গির্জায় প্রবেশ করে বেদীর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান একজন সৈন্য মেঝে থেকে মার্বেল পাথর খুলে নিচ্ছে। সুলতান তৎক্ষণাৎ সৈন্যটিকে তরবারির আঘাত করে জানিয়ে দেন যে সম্পদ এবং বন্দি সৈন্যদের। কিন্তু দালান-কোঠা সুলতানের। সৈন্যটি পায়ের ওপর পড়ে গিয়ে চলে যায়।


মাহমুদ নির্দেশ দেন এ গির্জা মসজিদে রূপান্তর হবে। তৎক্ষণাৎ মুসলিম ধর্ম নেতা উঠে আজান দেয়। এরপর সুলতান নিজে বেদিতে ওঠে আল্লাহকে অভিবাদন জানান এ বিজয়ের জন্য। তারপর যখন তিনি রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে যায়। সুলতান নির্দেশ দেন একদিনের লুণ্ঠনই যথেষ্ট হয়েছে সৈনদের জন্য।


কনস্টান্টিনোপলের পতনের ফলে পশ্চিমা খ্রিস্টান রাজ্যসমূহ নিজেদের বিনাশের কথা ভেবে হতচকিত হয়ে ওঠে। শেষ মুহূর্তে ভেনেশীয়ান জাহাজ বহরের মাধ্যমে পোপের সৈন্যবাহিনী শহর রক্ষার চেষ্টা করলেও আজিয়ানের তীর থেকে আর এগোতে পারেনি। 

Labels: , ,

উসমানী সাম্রাজ্যের উত্থানঃ সিজন ০১, এপিসোড ১-৩ বাংলা সাবটাইটেল

rise-of-attoman-s1

 খ্রিস্টান শক্তিসমূহ প্রথম দিকে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদকে তেমন একটা আমল দেয়নি। বখে যাওয়া রাজকুমারের পূর্ব ইতিহাস দেখে কেউ ধারণা করেনি যে, তিনি একদিন পিতার মতোই দক্ষ হয়ে উঠবেন। ছোটখাটো কিন্তু শক্তিশালী ও সুদর্শন মাহমুদ ছিলেন ঠাণ্ডা স্বভাবের। নিজের উপস্থিতি দিয়ে চারপাশের শ্রদ্ধা আদায় করে নেওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব ছিল তাঁর জীবন লিখে গেছেন, “তাঁর ঠোঁটে ছিল শান্তির বাণী। কিন্তু হৃদয়ে ছিল যুদ্ধের বাসনা।” বিদেশি দূতদের সাদরে গ্রহণ করে তিনি পিতার সই করা চুক্তিসমূহ পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেন। সম্রাট কনস্টান্টাইনের রাষ্ট্রদূতকে বন্ধুসুলভ আতিথেয়তা প্রদান করেন।

মেহমেদ ২য় এর প্রাথমিক শাসনামল এর বিবরণ 

আবার এশিয়া মাইনরে অনেক রাষ্ট্রদূতই সুলতানের কাছে যথোপযুক্ত সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ করেন। প্রধান উজির হালিল এদেরকে সাবধান করে লিখেন, তোমরা যদি অর্থানের (বায়েজীদের পৌত্র) সাথে বাহিনী গঠন করে অগ্রসর হও; নিশ্চিত থাকো যে নিজেদের ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করবে।


আড্রিয়ানোপলে ফিরে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ স্টুমা শহর থেকে গ্রিকদেরকে বিড়াতন ও তাদের রাজস্ব বায়েজাপ্তকরণের নির্দেশ দেন । এশিয়া মাইনরে ফিরে এসেই বাইজেন্টাইন অঞ্চলে প্রাসাদ তৈরির আদেশ দেন। এর ফলে প্রণালি পথকে নজরে রাখা এবং কনস্টান্টিনোপলকে অবরোধ করা সহজতর হবে।


কিন্তু বাইজেন্টাইন সম্রাট তৎক্ষণাৎ এ সিদ্ধান্তকে চুক্তির বরখেলাপ ভেবে রাষ্ট্রদূত পাঠান মাহমুদের কাছে। সুলতান রাষ্ট্রদূতকে অস্বীকার করেন। প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করার পর সম্রাট দ্বিতীয় আরেকজন রাষ্ট্রদূত পাঠান নানা উপঢৌকনসহকারে এবং বসফরাসে গ্রিক গ্রামগুলোর সুরক্ষার অনুরোধ জানিয়ে। সুলতান আবারো তাদের ফিরিয়ে দেন। সবশেষে শেষ রাষ্ট্রদূত এসে কনস্টান্টিনোপল আক্রমণ করা হবে না মর্মে নিশ্চয়তা চাইতেই সুলতান তাদের হত্যা করেন। এর ফলেই সবার মাঝেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


সুলতান নিজে পরিকল্পনা করে প্রাসাদের দেয়াল তৈরি করেছেন। মাত্র সাড়ে চার মাসের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। বোগাজ কেসেন নামে নামকরণ করা হয় ।


প্রাসাদের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সুলতান সেনাবাহিনী নিয়ে কনস্টান্টিনোপলের দেয়াল পরিদর্শন করেন তিন দিন ধরে। এরপর শীতে আড্রিয়ানোপলে নিজের কোর্টে ফিরে এর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেন। রাতারাতি তিনটি কামান স্থাপন করেন প্রণালির পাশের একটি উঁচু টাওয়ারে ।



নির্দেশ জারি করেন যে প্রণালি পায় পাপ হওয়ার সময় প্রতিটি জলযান নিজেদের পাল এবং নোঙ্গর নামিয়ে রাখবে। প্রাসাদের সামনে নোঙ্গর নামিয়ে রেখে নিজেদের যাত্রা অব্যাহত করার জন্য অনুমতি জোগাড় করবে নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদানের বিনিময়ে। নচেৎ কামানের গোলা মেরে তৎক্ষণাৎ তাদের ডুবিয়ে দেয়া হবে।


মাহমুদ নতুন নতুন সামরিক সরঞ্জামের প্রতি উৎসাহী ছিলেন। হাঙ্গেরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার আরবান কামানের মাধ্যমে তাঁকে আরো উৎসাহী করে তোলেন এই বলে যে. এর গোলা বাইজেন্টাইন নয়, ব্যাবিলনের দেয়ালও ফুটো করে দিতে পারবে। এভাবে আরবানকে বোগাজ কেসেনের ওপর স্থাপন করার মতো কামান তৈরির নির্দেশ দেন সুলতান, যাতে বসফরাসকে কামানের গোলার নাগালের মাঝে রাখা যায়


মাহমুদ এরপর আরবানকে নির্দেশ দেন দুইগুণ বড় একটি কামান তৈরি করার জন্য। এটি তৈরি শেষ হওয়ার পর দেখা যায় আড্রিয়ানোপলে সাতশ সৈন্য ও পনেরো জোড়া ষাঁড় প্রয়োজন হয় এটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নেয়ার জন্য। শহরবাসীকে সতর্ক করা হয় এর শব্দে ভয় না পাওয়ার জন্য। তারপর এটি পরীক্ষা করা হয়। দশ মাইল দূর থেকেও এর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় আর গোলাটি এক মাইল ছুটে গিয়ে ছয় ফুট গভীরে গিয়ে থামে শেষ পর্যন্ত ।


এই মহড়ায় উল্লসিত হয়ে সুলতান নির্দেশ দেন রাস্তা ও সেতু মেরামত করার জন্য যেন বসন্তে এই কামান কনস্টান্টিনোপলের দেয়ালের বাইরে কোনো অংশে স্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া যায়। এভাবে আর্টিলারি বাহিনী গঠন করে গান পাউডার ব্যবহারের প্রচলন করেন সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ, যা পশ্চিমে পরিচিত থাকলেও পূর্বের মানুষের অজানা ছিল।


১৪৫২ সালের পুরো শীতজুড়ে সুলতান কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন নিজের কৌশল, পরিকল্পনা, আক্রমণের প্রস্তুতি। ছদ্মবেশে শহরে ঘুরে সৈন্যদের ও সাধারণ মানুষের মনোভাব সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।


নিজের সাম্রাজ্যের প্রতিটি প্রদেশ থেকে সৈন্য এনে থ্রেসে জড়ো করেন সুলতান। যাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় শত হাজারে। এদের মাঝে জানিসারিসরাই ছিল বারো হাজার। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তদারক করেন। রাজ্যজুড়ে কারিগররা তৈরি করতে থাকে বর্ম বর্ণা, শিরস্ত্রাণ, তরবারি, তীর-ধনুক-প্রকৌশলীরা বানায় ঢাকা ও ব্যাটারি, এই বিশাল বাহিনীর সামনে কনস্টান্টিনোপলের গ্রিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাত হাজার।




সম্রাট গিওভান্নি নামে জেনোয়ার বিশেষজ্ঞকে চাকরিতে নিয়োগ দান করেন শহর প্রতিরক্ষার জন্য। অস্ত্রের পুনর্বণ্টন করা হয়। আর্থিক সাহায্যের জন্য ফাও গঠন করা হয়। ব্যক্তি থেকে শুরু করে গির্জা, আশ্রম সব জায়গা থেকেই এতে অর্থ দান শুরু হয়।


সুলতান সচেতন ছিলেন যে কনস্টান্টিনোপলকে অবরোধ করার পূর্বের সব অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পেছনে কারণ ছিল শুধু স্থলপথে আক্রমণ। বাইজেন্টাইন সব সময় নৌবিদ্যায় পারদর্শী ছিল বিধায় সমুদ্রপথে নিজেদের প্রয়োজনীয় রসদ আনত। অন্যদিকে তুর্কিরা এশিয়া মাইনর থেকে সৈন্য পরিবহনের জন্য খ্রিস্টান জাহাজ ব্যবহার করত। ফলে মাহমুদ বুঝতে পারেন যে নৌশক্তি জড়ো করাও জরুরি। এই চিন্তা থেকেই আজিয়ান জাহাজ ঘাঁটিতে খুব দ্রুত একশত পঁচিশটি নৌযান তৈরি করা হয়।


১৪৫৩ সালের বসন্তে গ্রিকবাসী অবাক হয়ে দেখল তুর্কিদের বিশাল নৌবহর তাদের নিজেদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। এরপর নিজের মন্ত্রিপরিষদের কাছে আক্রমণের ও যুদ্ধের পরিকল্পনা খুলে বলে সুলতান ঘোষণা করেন যে তুর্কিরা এখন নৌশক্তিতে বলিয়ান এবং কনস্টান্টিনোপল ছাড়া অটোমান সাম্রাজ্য অসম্পূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ একবাক্যে সুলতানকে সমর্থন দেয়।


সুলতান নবীজির সমর্থনও পেয়েছিলেন। অটোমান সেনাবাহিনী এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে স্বর্গে যে সৈন্য বিশেষ একটি জায়গা পাবে সে শহরে প্রবেশ করবে। সুলতান প্রায়ই বলতে থাকেন যে তিনিই সেই রাজকুমার হবেন যিনি অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ইসলাম নাম নিয়ে জয়ী হবেন।


অন্যদিকে গ্রিকরা পুরো শীতজুড়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বাধার মুখোমুখি হয়।


ভূমিকম্প, বন্যা, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, তারা পতন সবকিছু মিলিয়ে অ-খ্রিস্টানদের হাতে সাম্রাজ্যের পতনের ঘণ্টা বাজতে থাকে।


বসন্তের শুরুতে সুলতান প্রেসের মধ্য দিয়ে নিজের বিশাল বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হতে শুরু করেন এবং ২ এপ্রিল ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলের দেয়ালের কাছে পৌঁছান। ভূমির পাশের দেয়ালের একটি কেন্দ্রীয় অংশকে বাছাই করে সুলতান নিজের হেডকোয়ার্টার তৈরি করান। চারপাশে জড়ো করেন জানিসারিসদের। পাশেই রাখা হয় সেই দানবীয় কামান। সুলতানের অপর পাশে ঠিক তাঁর সোজাসুজি জেনোইস সৈন্যদের নিয়ে সম্রাট অবস্থান নেন। এছাড়াও ভেনেশীয়ান খ্রিস্টানরাও তাঁর পক্ষে আছেন প্রমাণ করার জন্য সৈন্যরা নিজেদের ইউনিফর্ম পরে তুর্কিদের সামনে দিয়ে হেঁটে বেড়ান। কূটনৈতিক পর্যায়ে সুলতান কোন আগ্রহ না দেখানোয় এটাই যদি ঈশ্বরের


ইচ্ছা হয় তবে তাই হোক মর্মে সুলতানকে একটি পত্রে জানান সম্রাট। এরপর শহরের প্রধান দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিখার ওপর থেকে সেতু সরিয়ে ফেলা হয়। পবিত্র সপ্তাহজুড়ে খ্রিস্টানরা গির্জাতে প্রার্থনা

Labels: , ,