Monday, November 28, 2022

মেহমেদ বীর চিহান ফাতিহ বাংলা ডাবিং এপিসোড ১-৩

20221128-113734

 আমি মেহমেদ,মেহমেদ দ্বিতীয়। সুলতান মুরাদের পুত্র, তরুন সুলতান। ১২ বছর বয়সে আমার কাঁধে সুলতানের দায়িত্ব এসে পড়ে। আমি স্বপ্ন দেখতাম।আমি সবকিছুর উর্ধ্বে আমার স্বপ্নকেই প্রাধান্য দিতাম।আমার দাদা ওসমানের সাথে বিলেচিক টেকফুরকে পরাস্ত করবো,ওরহানের সাথে বুরসা জয় করবো।যদি আঙ্কারার যুদ্ধে থাকতে পারতাম,তবে দাদা ইলদিরিম বায়েজিদকে বলতাম হুজুল হাসানের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে সাবধানে থাকুন আমার সুলতান।তবে আমার বাবা,বিশেষ করে আমার বাবাকে ঘিরে,আমার স্বপ্নের গোলাগুলো যুদ্ধের ময়দানে ছুটে যেত,বাবার পাশে থেকে যুদ্ধ করার স্বপ্ন ছিলো সবথেকে কঠিন ও সবথেকে তীক্ষ্ণ। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তবে যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে নয়।

-সুলতান মেহমেদ ২য়

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট 

কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে পর্যটন একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প এবং এ প্রবণতা বর্তমান শতাব্দী জুড়েও অব্যাহত থাকবে। আমাদের দেশে পর্যটন শিল্প একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় খাত। দেশে এবং বিদেশে দ্রুত বর্ধনশীল প্র ও পর্যটন শিল্পের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভাগটি চালু করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭ সালে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নামে বিভাগ চালু হয়, আসন সংখ্যা ১১৫টি। রাজশাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই নামে ২০১৯ সালে এ বিভাগ কার্যক্রম শুরু করে, আসন সংখা ৩০টি। ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, আসন সংখ্যা ৭৫টি। এছাড়াও নোয়াখালী, পাবনা, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ মুজিব মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিভাগে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়।


ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট


ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বলতে ব্যাপক একটা কর্মযজ্ঞকে বোঝানো হয়, যা যেখানে আনন্দ, অবসর বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে দর্শনীয় স্থানসমূহতে পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের ব্যবস্থাপনা করা হয়। টিকেটিং, হোটেল বুকিং, ফুড অ্যান্ড অ্যাকোমোডেশন, লোকাল ট্রান্সপোর্টেশন, সাইট সিয়িং ট্রাভেল গাইডসহ আরও নানা রকমের সার্ভিস ট্যুরিস্ট বা ট্রাভেল এজেন্সিগুলো পর্যটকদের দিয়ে থাকে।


হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট

 হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি, ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির একটি সহায়ক এবং প্রসারিত শাখা হিসেবে কাজ করে। এটি ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টেরই একটি অংশ। হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে গেস্টদের হোটেল, মোটেল বা রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা করা, হোটেলেই খাবার এবং পানীয়র ব্যবস্থা করা, তাদের হোটেলে অবস্থানকালীন সময়ে লড়ি, বিজনেস মিটিং, প্রয়োজনে। চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজগুলো হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের আওতায় পড়ে। এছাড়াও ট্যুরিজম এবং হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেক কাজের ক্ষেত্র রয়েছে।


যা পড়ানো হয়


ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডামেন্টালস, বাংলাদেশ স্টাডিজ, ট্যুরিজম কালচার, ট্যুর অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, হাউস কিপিং ম্যানেজমেন্ট, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন, ফুড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ইকোনমির কমার্শিয়াল, ফার্স্ট এইড আরবান অ্যান্ড রুরাল ট্যুরিজম ইতাদি।


ভবিষ্যৎ


বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে অনেক নামিদামি তারকা হোটেল এবং রিসোর্ট। বাড়ছে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপকের চাহিদা। শুধু ঢাকায় লা মেরিডিয়ান, ঢাকা ওয়েস্টিন, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ, হানসা রেসিডেন্স, ঢাকা রিজেন্সিসহ আরও অনেক তারকামান সম্পন্ন হোটেল গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দেশে ভবিষ্যতে বিদেশি ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়বে। ভ্রমণকালে তাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে পারদর্শী জনবল। তাই এই সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার অফুরন্ত সুযোগ থাকছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এ সেক্টরে যেমন উচ্চ বেতন পাওয়া যায় অন্যদিকে রয়েছে স্মার্ট জীবনযাপনের সুযোগ।


যাদের পড়া উচিত


নিতে পারে, আতিথেয়তার কাজে আগ্রহ আছে, রান্না ঘর সাজানো, অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজেও আহ আছে তারা এ বিষয় পড়তে পারে। সাবলীল ও বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারাও এ বিষয়ে পড়ার জন্য দরকারি। যারা বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করেছে, তাদের জন্য এই বিভাগের পড়া তুলনামূলক সহজ হবে।


কর্মক্ষেত্র 


ঢাকায় এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আন্তর্জাতিক মানের চেইন হোটেল চালু হচ্ছে। পারিবারিক বিনোদনকেন্দ্রগুলোর নতুন অংশ হয়ে উঠছে রিসোর্টগুলো। তাই এ সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরিয়ার গড়ার প্রচুর সুযোগ থাকছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের। বাংলাদেশ বিমান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সে কেবিন ক্রু, স্টুয়ার্ড হিসেবে কাজ করছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ | আন্তর্জাতিক মানের হোটেলে সুপারভাইজার পর্যায়েও কাজ করছে তারা। চাকরির বাজার এখন আর শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের বাইরেও কাজের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, হাসপাতাল, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম সংস্থা, এয়ারলাইন্স, শিল্প, কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস সেন্টার প্রভৃতি। পাঁচতারকা চেইন হোটেলের পাশাপাশি ট্যুর | অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি তো আছেই। তবে | এ বিভাগে পড়া মানে যে শুধু পর্যটনসেবার ক্ষেত্রগুলোই কাউকে ক্যারিয়ার হিসেবে গেছে নিতে হবে, তা নয়। যেকোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ থাকে। এ বিভাগ থেকে পাস করা অনেক শিক্ষার্থীই স্নাতক শেষ করে সরকারি চাকরি করছে। তাই দক্ষতা গড়ে তুলতে পারলে নানা রকম সুযোগই আছে।

মেহমেদ বীর চিহান ফাতিহ বাংলা ডাবিং 

Labels: ,

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home